সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই আমফানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘর। এখনও জলের নীচে অনেকের শেষ সম্বলটুকুও। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছেটা একফোঁটাও কমেনি অভাবী এই মানুষগুলোর। তাই দুর্যোগে সর্বস্ব হারিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত অন্যদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন তাঁরা। তবে গোটা বিষয়ের নেপথ্যে একদল ছাত্র-ছাত্রী আর তাঁদের ‘বারাসত পিপলস কিচেন’।
জানা গিয়েছে, লকডাউনের শুরু থেকেই অসহায় মানুষদের কথা চিন্তা করে এগিয়ে এসেছিলেন বারাসতের বহু ছাত্র-ছাত্রী। সেই থেকে পথচলা শুরু পিপলস কিচেনের। বারাসতের নির্দিষ্ট এলাকায় রান্না করে দীর্ঘদিন ধরেই তা তুলে দেওয়া হচ্ছিল দুস্থ মানুষদের হাতে। এরই মাঝে আঘাত হানে আমফান। লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোটা রাজ্য। ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের রোষানল থেকে রেহাই পায়নি বারাসতও। একে লকডাউন তার উপর আমফান দুইয়ের দাপটে ভয়ংকর সমস্যার সম্মুখীন হন মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করে পিপলস কিচেন। এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য বারাসত অশ্বিনীপল্লির এমন কিছু মানুষকে আহ্বান জানান তাঁরা, যারা নিজেরাও ছাদ হারিয়েছে আমফানে, কারও আবার এখনও ঘর জল থৈ থৈ।
সহযোগিতা করার সুযোগ পেয়ে দ্বিতীয়বার ভাবেননি তাঁরা। হাতে তুলে নিয়েছেন হাতা-খুন্তি। সকাল হতেই শুরু করেছেন রান্না। তাঁদের তৈরি খাবারেই পেট ভরিয়েছেন অনাহারে থাকা বহু মানুষ।
এ প্রসঙ্গে পিপলস কিচেনের সঙ্গে জড়িত অর্কপল দত্ত জানান, “লকডাউনের শুরু থেকেই খাদ্য বিলি করছি। বুধবার ৪৪ তম দিন। আমফান পরবর্তীতেই অশ্বিনীপল্লির ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তাঁরা নিরাশ করেনি। আশা করি পরবর্তীতে আরও মানুষের কাছে যেতে পারব। পাশে দাঁড়াতে পারব।” ছাত্র-ছাত্রী ও অসহায় মানুষগুলোর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেকেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.