শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: পরপর তিনটি ইঞ্জেকশন। তার পরই নেতিয়ে পড়ল দেড় মাসের দুধের শিশু। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু। নার্সের বিরুদ্ধে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল উত্তাল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। গোয়ালপাড়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্সের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়ল গোটা গ্রামবাসী। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নার্সকে তালাবন্দি করে তুমুল বিক্ষোভও দেখান মৃত শিশুর পরিজনেরা। ক্ষিপ্ত বাসিন্দাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম হতে হয় পুলিশকর্মীদের। দীর্ঘক্ষণ ঘরবন্দি নার্সকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশ ও জনতার সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়।
মৃত শিশুর বাবা পেশায় ব্যবসায়ী। উত্তম বর্মন বলেন, “আমার সুস্থ বাচ্চাটাকে পরপর তিনটি ইঞ্জেকশন দেয় নার্স। আর তাতেই বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার পর আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যু হয়। শিশুর শারীরিক অবস্থা নার্সের বোঝা উচিত ছিল। দুধের শিশুকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার আগে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিশুর টীকাকরণ করতে যান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক নার্স। পরপর তিনটি ইঞ্জেকশন দেন। পরিবারের দাবি, তার পরই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটিকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানায়। বিকেলে মৃত্যু হয় শিশুটির। ভুল ইঞ্জেকশনের অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্যকর্মীকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা বাঁধে। যদিও অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী ভুল ইঞ্জেকশনের কথা অস্বীকার করেন। মৃত শিশুকে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এব্যাপারে রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সানা আকতার বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.