রঞ্জন মহাপাত্র: গত শনিবার সকালের দিকে আচমকাই বিকট শব্দ। কেঁপে উঠেছিল গোটা দিঘা। পর্যটকদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য। বিস্ফোরণের আশঙ্কায় সমুদ্র ছেড়ে হোটেলে ফিরেছিলেন পর্যটকরা। তার ক’দিন পরেই দিঘার সমুদ্র থেকে উদ্ধার হল মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ। মৎস্যজীবীরাই উদ্ধার করেন ধাতব যন্ত্রাংশ।
[ বিকট শব্দে কেঁপে উঠল দিঘা, আতঙ্কে পর্যটকরা ]
মাঝসমুদ্রে প্রায় ১৩০ কিমি দূরে ছিলেন মৎস্যজীবীরা। প্রতিদিনের অভ্যাসে চলছিল জাল টানা। আচমকাই জাল আটকে যায়। কৌতূহলী হয়ে পড়েন তাঁরা। অনেকে ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু কেউ কেউ আগ্রহ নিয়ে তা জল থেকে তোলেন। দেখা যায় উঠে আসছে ভারী ধাতব জিনিস। ট্রলারে তুলে নিয়ে তা জেটিতে আনতেই ছড়ায় চাঞ্চল্য। যুদ্ধ জাহাজের যন্ত্রাংশ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে এই ধাতব খণ্ডগুলিকে। স্থানীয় মৎস্যজীবী সমীরণ মণ্ডল জানাচ্ছেন, “আমারা জানতাম না যে এগুলো জাহাজের অংশ। ভারী জিনিস পেয়ে কৌতূহলের বশে তুলে আনি।” তাঁর অনুমান এর ওজন প্রায় ১৬০-৭০ কেজি হবে।
সাম্প্রতিক আওয়াজ আতঙ্কের সঙ্গে এর যোগ কতটা? বিকট শব্দে দিঘা কেঁপে ওঠার পর অনেকেই অনুমান করেছিলেন, চাঁদিপুরের মহাকাশ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেই কোনও পরীক্ষা হয়েছে। মাঝসমুদ্রে শক্তিশালী কোনও পরীক্ষার কারণেই কেঁপে উঠেছিল চারিদিক। সেই ঘটনার সঙ্গে এই যন্ত্রাংশ উদ্ধারকে অনেকেই মেলাতে চাইছেন। মনে করা হচ্ছে তারই ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। যদিও ওই মৎস্যজীবীর দাবি, এ জিনিস নতুন নয়। কেননা ধাতব যন্ত্রাংশের গায়ে যেভাবে শ্যাওলা-গুগলি ইত্যাদি লেগে ছিল তাতে সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে বলে মনে করছেন না তিনি। তাহলে মাঝসমুদ্রে এই যন্ত্রাংশ এল কোথা থেকে? পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.