রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: দলের কর্মীদের মাটি কামড়ে থেকে বুথ ও ভোট রক্ষা করার ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার কোচবিহারে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “যদি কোথাও সন্ত্রাস হয় তার প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। যে ঠাকুর যে ফুলে সন্তুষ্ট হয়, সেই ফুলে পুজো দিন।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, তাতে যদি শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত হয় তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। বিজেপির নয়। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভাল ফল করবে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতেও বিজেপির ফল ভাল হবে বলে তাঁর দাবি।
অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারে নির্বাচনী জনসভা থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও পুলিশের কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর গুরুর মাঠ, পরে টাউন ক্লাব মাঠে ও শেষে মাদারিহাটেও সভা করেন রাহুলবাবু। এদিন জটেশ্বরের সভায় রাহুলবাবু বলেন, “সিপিএম নতুন বউয়ের মতো ঘোমটা দিয়ে রয়েছে। পাছে ভাশুর দেখে ফেলে সেই কারণে এখন সিপিএম ঘোমটা খুলছে না। কিন্তু ঘোমটা খুললেই সিপিএমের খ্যামটা নাচ দেখতে পাবেন সকলে।”
কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের গালে একটা চড় বসিয়েছে। আর দ্বিতীয় চড়টি নির্বাচন কমিশনের গালে বসিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাহুল সিনহার বক্তব্য, রাজ্য সরকার এখনই ভোট করতে চাইছে। তার কারণ সর্বত্র এক কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। আর এই দ্বন্দ্বের কারণেই দেরিতে ভোট করতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। সরকার ও শাসকদলকে কটাক্ষ করে শমীক বলেন, “উন্নয়ন দেখতে এখন ডুয়ার্সের চিতাবাঘও শিলিগুড়ি শপিং মলে চলে আসছে। সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল চলে আসছে লালগড়ে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.