সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকালের পৌনে ২ ঘণ্টা বৈঠকে পর আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল তৃণমূল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হোয়াটস অ্যাপ বার্তা এক লহমায় পালটে দিয়েছে গোটা ছবি। তৈরির পথে নতুন সমীকরণ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রাক্তন মন্ত্রীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। এই ঘটনার পরই শাসকদলকে বিঁধতে শুরু করেছে বিজেপি (BJP)।
শুভেন্দু অধিকারীর হোয়াটস অ্যাপ প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সৌগত রায়কে বিঁধে বলেন, “শুভেন্দুকে খুশি করতে বুড়ো খোকারা নেমেছিলেন। বৈঠক হল। কাল রাতে আমার কাছে ফোন এল, শুনলাম সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। সকলের হাসিমুখ। আবার শুনছি এসব।” কটাক্ষ করে বলেন, “যুবকরা কিছুতেই তৃণমূলের বুড়ো খোকাদের কথা শুনছে না।” শুভেন্দু অধিকারীর সিদ্ধান্ত নিয়ে গতকাল থেকেই আশাবাদী ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এদিন তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের যাবতীয় ক্ষতির জন্য ‘ভাইপো’কেই কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বলেন, “ভাইপোর জন্য সমস্ত সমস্যা। উনি গুন্ডাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছেন। কিন্তু কারও কিছু বলার সাহস নেই। যা নিয়েই নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ। সৌগত রায় এসবকে গুরুতত্ব না দিয়ে নম্বর বাড়াতে গিয়েছিলেন সমঝোতার চেষ্টা করে।” শুভেন্দুর পদক্ষেপের উপর ভরসা রেখেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁর কথায়, “ওঁ গণআন্দোলনের ফসল। ও যা সিদ্ধান্ত নেবে তারপর আমরা ভাবব।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-পিকে-সৌগত রায়ের সঙ্গেও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। তারপরে দলের তরফে জানানো হয়, “সমস্যা মিটে গিয়েছে। শুভেন্দুবাবু দলের সঙ্গেই রয়েছেন।” এরপর আচমকাই বুধবার দুপুরে ছন্দপতন। এদিন হোয়াটস অ্যাপে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে শুভেন্দুবাবু জানিয়েছেন, ‘আর একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।’ আর এতেই তুঙ্গে জল্পনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.