দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড এখনও পুরোপুরি মেটেনি৷ তার উপর আবার বর্ষাকাল৷এই মরশুমে বিদ্যুৎ ঘাটতির সমস্যা যাতে না হয়, তাই একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। শুক্রবার আলিপুরে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক, কর্মাধ্যক্ষ ও দু’জন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, ‘‘হুকিংয়ের জেরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকসান হচ্ছে৷ সেই লোকসান রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’
বৈঠকে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, এলাকায় বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে খুব দ্রুত গতিতে। সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপ-সহ সাগর ব্লকের প্রায় সমস্ত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে গ্রিডের বিদ্যুৎ। তবে ঘোড়ামারা এবং মৌসুনি দ্বীপে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি৷ অন্যদিকে, সুন্দরবনের বেশ কিছু এলাকায় নদী পার করে দ্বীপে দ্বীপে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিডের সমস্যা মিটে গিয়েছে৷ সেখানে নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁরা জেলাশাসককে আরও জানান, বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ প্রকল্পের একাধিক কাজ চলছে৷ আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকটি সাবস্টেশন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজও চলছে দ্রুতগতিতেই৷
বর্ষায় সুন্দরবন সংলগ্ন নানা দ্বীপ এলাকায় দিনের পর দিন লোডশেডিং হয়৷ এই সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, এদিনের বৈঠকে সে বিষয়েও আলোচনা হয়৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিদ্যুতের আঞ্চলিক অধিকর্তা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সেগুলির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আমরা বিভিন্ন এলাকাতে লোডশেডিং কমাতে পেরেছি। আগামী দিনে তা আরও কমানো সম্ভব হবে।’’
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল লাহিড়ী বলেন, ‘‘দপ্তরের কাজে কোথায় কোনও খামতি রয়েছে কি না তা জানার জন্য আমরা বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে প্রতি মাসে রিভিউ মিটিং করার চেষ্টা করছি৷’’ জেলাশাসক যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন তাতে আগামী দিনে বিদ্যুতের সমস্যা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.