ছবি: প্রতীকী
ধীমান রায়, কাটোয়া: দুর্ঘটনায় সন্তানের মৃত্যুর পর হিংস্র হয়ে উঠেছে রাস্তার একটি কুকুর। যাকে সামনে পাচ্ছে, তাকেই কামড়ে দিচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার এক সপ্তাহে কুকুরের কামড়ে আহত কমপক্ষে ছ’জন। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। সকলেই চাইছেন, ‘পাগলা’ কুকুরটিকে মেরে ফেলা হোক। কিন্তু, এনআরএস কাণ্ডের পর কুকুরের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না কেউই!
[ খুনিদের বোকা বানাতে ‘মৃত’ সাজলেন প্রৌঢ়, ফিরলেন নতুন জীবনে]
এনআরএস হাসপাতালে ১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল শহরে। অভিযুক্ত দুই নার্সিং পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এখন অবশ্য জামিনে মুক্ত তারা। তবে কুকুর হত্যার দায়ে দু’জনকেই দুই মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। আর এই ঘটনায়ই ভয় পেয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দারা। এলাকায় কার্যত তাণ্ডব চালাচ্ছে ‘ল্যাজকাটা লালি’। এখনও পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত কমপক্ষে ৬ জন। ছেলে-বুড়ো কেউই রেহাই পাচ্ছে না। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বাজার। রাস্তার দু’ধারে অজস্র দোকান, রয়েছে রাজ্য প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকার দুটি মাংসের দোকানের আশেপাশে দিনরাত ঘোরাঘুরি করে একটি কুকুর। ‘ল্যাজকাটা লালি’ নামেই পরিচিত সে। সম্প্রতি ৬টি শাবকের জন্ম দেয় কুকুরটি। তিনটি শাবক হারিয়ে গিয়েছে। আর টোটোর ধাক্কায় মারা গিয়েছে আরও একটি। এরপর থেকেই রীতিমতো হিংস্র হয়ে উঠেছে রাস্তার কুকুরটি। কুকুরের কামড়ে গত এক সপ্তাহে আহত হয়েছে কমপক্ষে ছয়জন। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কুকুরকে মেরে ফেলা কখনই ঠিক নয়। শহরাঞ্চলে কুকুরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে পুরসভার দ্বারস্থ হন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু গা-গঞ্জে তেমন রেওয়াজ নেই। বরং হিংস্র কুকুরকে ‘পাগল’ প্রতিপন্ন করে মেরে ফেলাই দস্তুর। কিন্তু, এনআরএস কাণ্ডের পর এখন কুকুরের গায়ে হাত দিতে ভয় পাচ্ছেন ভাতারের মানুষ। সকলের একটাই কথা, ‘কুকুরটিকে মেরে ফেলা উচিত। কিন্তু কুকুর মারলে তো পুলিশের ধরবে। তাই কিছু করতে পারছি না।’
ছবি: জয়ন্ত দাস
[ রাত নামলেই মৃদু কম্পনে ফাটল ধরছে দেওয়ালে, আতঙ্ক ছড়াল রানিগঞ্জ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.