ছবি- সুবীর এস
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: এবার চরের ‘দুয়ারে সরকার’। তিস্তা নদীর বিস্তির্ণ চর, যা বাহির চর নামে পরিচিত। সেই নদীর প্রত্যন্ত চরে বসল দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। সোমবার সকালে নৌকা চেপে বাহির চরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার দুর্গম এই বাহির চরে বসল ‘দুয়ারে সরকারে’র শিবির।
প্রতিবছর বর্ষা এলেই পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এই চর। শীতে অনেকটাই ছোট হয়ে আসে তিস্তা নদী। এদিন প্রথমে নৌকা এরপর ট্রাক্টরে চেপে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের বোয়ালমারি নন্দনপুর অঞ্চলের বাহির চরে পৌঁছন সদর বিডিও সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। বিডিও মিহির কর্মকার জানান, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বার্ধক্যভাতা, স্বাস্থ্য সাথী-সহ সরকারি ৩৭টি প্রকল্পের সুবিধা ঘরের দুয়ারে পাবেন বাহির চরের বাসিন্দারা। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবি তুলে নেওয়ার ও ব্যবস্থা করা হয়। প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি তিস্তার বাহির চরের বাসিন্দারা।
তিন শতাধিক পরিবারের বাস এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা নরেশ মন্ডল, গোপাল মন্ডল জানান, সরকার পরিষেবা দিলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার কারনে একাধিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন তাঁরা। অনেকেই লক্ষ্মীর ভান্ডার, বার্ধক্য ভাতা, স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। প্রতিবছর মন্ডলঘাট, বোয়ালমারি এলাকায় শিবির হয়। কিন্তু অনেকটা দূর যেতে হবে ভেবে অনেকেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।
বিডিও মিহির কর্মকার জানান, একদিনের এই শিবির আড়াইশো মানুষ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। জলপাইগুড়ি জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারাও যাতে ঘরের দুয়ারে পরিষেবা পান, তার জন্য এই বছর জেলায় দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের সংখ্যা বেড়েছে। এনিয়ে জেলাশাসক শামা পারভিন জানান, গত বছর ২৬০০টি জায়গায় ‘দুয়ারে সরকারে’র ক্যাম্প হয়েছিল। এবার প্রত্যন্ত বনবস্তি, চা-বাগান, নদীর চরের বাসিন্দারাও যাতে পরিষেবা পান তার জন্য শিবিরের সংখ্যা বেড়ে ২,৮০০ করা হয়েছে। কোনও মানুষ যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্যই এই উদ্যোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.