সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কালীপুজোর (KaliPuja2020) বিসর্জনের কার্নিভ্যালেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। ফলে পশ্চিম বর্ধমানে কাঁকসার জঙ্গলমহলের ১৬টি পারবারিক পুজোর দীর্ঘদিনের রীতিতে ছেদ পড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই মুখ ভার সকলের।
বহু বছর আগে মা কালীর নিরঞ্জনে গ্রামীন কার্নিভ্যাল শুরু হয়েছিল কাঁকসার বনকাটিতে। বনকাটি এবং অযোধ্যা নামে দুটি গ্রামের ১৬ টি পারিবারিক কালীপ্রতিমার বিসর্জন হতো একই দিনে, একই সারিতে। নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে মেতে উঠত বনকাটি পঞ্চায়েতের বনকাটি এবং অযোধ্যা। তবে নির্দিষ্টভাবে কেউই জনে না এই প্রথা কীভাবে, কবে এবং কেন শুরু হয়েছিল। তবে প্রবীণদের কথায়, এই প্রথা শুরু হয়েছে প্রায় ১০০ বছর আগে। জানা গিয়েছে, যম দ্বিতীয়ার পরের দিন এই ১৬ দেবীর নিরঞ্জন হয় এক সঙ্গে। এইদিনে দু’গ্রামের হাটতলায় শুধুই মাথার ভিড়। কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ জড়ো হন সেখানে। বাজিতে বাজিতে ভরে যায় এলাকা। চলে নাচ-গান। উলু আর শঙ্খধ্বনীতে এলাকায় এক স্বর্গীয় পরিবেশ তৈরি হয়। সবশেষে শোভাযাত্রা নিয়ে ১৬ দেবী দুই গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। এরপর হয় নিরঞ্জন।
কিন্তু করোনার কারণে চলতি বছরে বিসর্জনে শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ। ফলে কাঁকসার জঙ্গলমহলের দুই গ্রামের ১৬ টি পারিবারিক কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের এত বছরের প্রাচীন প্রথায় ছেদ পড়বে এবার। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ সকলেরই। জানা গিয়েছে, এবার মন্দির থেকে সোজা পুকুরে নিয়ে যাওয়া হবে প্রতিমা।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.