ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিকল্পনা আদৌ বাস্তবায়িত হবে নাকি অঙ্কুরেই বিনাশ ঘটবে, এমনই আশা-আশঙ্কার দোলাচলেই পুজো কাটিয়েছে হুজুগে বাঙালি। তবে বৃষ্টি হলেও তাতে উৎসবপ্রিয়দের কিছুই যায় আসে না। বৃষ্টি কমতে না কমতেই ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে পড়েছিলেন অনেকে। আবার কেউ কেউ ছাতা মাথাতেও প্রতিমা দর্শন করেছেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল দশমীতে কী হবে? উৎসবের শেষ লগ্নে যদিও বিশেষ আশার বাণী শোনাতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরও।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওড়িশায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ তার প্রভাবে দশমীতেও রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির আশঙ্কা এড়ানো যাচ্ছে না। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তুলনামূলক বেশি পরিমাণ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে বীরভূম, মুর্শিদাবাদের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির আশঙ্কা।
ষষ্ঠীতেও অঝোর বৃষ্টিতে ভিজেছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। সপ্তমী, অষ্টমীতেও বজায় ছিল একই ধারা। নবমীতেও প্রায় দিনভর আকাশের মুখ ছিল ভার। দু-এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে কোনও কোনও জায়গায়। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাসকে সত্যি প্রমাণিত করে দশমীতেও বৃষ্টি হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কায় বাঙালি। ইতিমধ্যেই মণ্ডপে মণ্ডপে দশমীর পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। সিঁদুরখেলায় মজেছেন মহিলারা। তবে সব কিছুর মধ্যেও যেন কোথাও লুকিয়ে রয়েছে খারাপ লাগা। আবার এক বছরের জন্য কৈলাসে পাড়ি দেবেন উমা, একথা ভেবে চোখের কোণ চিকচিক করে উঠছে উৎসবপ্রিয় বাঙালির। তারই মাঝে আবারও হাওয়া অফিসের বৃষ্টির পূর্বাভাস আমবাঙালির যন্ত্রণাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে, তা বলাই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.