ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন সন্তান নিয়ে দু’জনেরই ভরা সংসার। তা সত্ত্বেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল খুড়তুতো দেওরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন গৃহবধূ। যদিও তা নিয়ে পরিজনদের আলোচনা করারও সুযোগ দেননি তাঁরা। তার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। চার মাস ধরে কারও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে রানিগঞ্জের (Ranigunj) মহাবীর কলোনিতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় দেওর-বউদির ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক পরিজন, প্রতিবেশী সকলেই।
রানিগঞ্জের মহাবীর কলোনির বাসিন্দা ফাগু বাউড়ি এবং চম্পা বাউড়ি। ইসিএলে চাকরি করতেন ফাগু। শুক্রবার সকালে এক কিশোর জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় সে দেখে গাছ থেকে ঝুলছে ফাগু এবং চম্পার দেহ। সেই এলাকায় খবর দেয়। নিহতদের পরিজন এবং প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ দুটি উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন দু’জনে।
নিহতদের পরিবারের দাবি, চার মাস আগেই এলাকাছাড়া হয়ে যান দেওর ও বউদি। প্রতিবেশীরা জানান, কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল ফাগু এবং চম্পার মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে তা নিয়ে কোনওদিনই অশান্তি হয়নি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই উধাও হয়ে যান চম্পা এবং ফাগু। পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। তবে তা সত্ত্বেও কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গল থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রণয়ঘটিত অশান্তির জেরে আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.