সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: একের পর এক বিভাগ বন্ধ হচ্ছে। বাতিল হচ্ছে অর্ডার। ইস্পাতের পাহাড় হয়ে রয়েছে গুদাম। এই অবস্থায় লকডাউনের জেরে ভবিষ্যতে বেতন হবে কিনা তা নিয়েই আশঙ্কায় ডিএসপির কর্মী ও শ্রমিকরা। কারখানার সেকশন মিল, মার্চেন্ট মিল ও হুইল অ্যান্ড এ্যাক্সেল বিভাগ বন্ধ। রাস্তার পরিবহন বন্ধ থাকায় বের হতে পারছে না উৎপাদিত ইস্পাত। স্টকে ১ লক্ষ মেট্রিক টন তৈরি ইস্পাত পড়ে আছে। একদিকে বিক্রি বন্ধ তো অন্যদিকে জমছে উৎপাদিত পণ্য।
এর উপর লকডাউনের নিয়ম ও প্রশাসনের নির্দেশ মেনে কর্মী হ্রাস করে উৎপাদনও কমিয়ে আনা হয়েছে। কারখানা ছাড়া সম্পূর্ণ বন্ধ পরিষেবা সংক্রান্ত বিভাগগুলিও। এই অবস্থায় ভবিষ্যতে টিকে থাকা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কর্মী ও শ্রমিকরা। এই অবস্থায় বেতনও মিলবে কিনা তা নিয়েও অজানা আশঙ্কায় রাতের ঘুম ছুটেছে কর্মীদের। লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়লে আঁধার নামবে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায়।
[ আরও পড়ুন: লকডাউনের সুযোগে বেআইনিভাবে বিক্রির জন্য মজুত, ২৭ বস্তা চাল-সহ আটক দুই ]
কারখানার সিটুর যুগ্ম সম্পাদক সৌরভ দত্ত জানান, “কর্মী ও শ্রমিকদের নিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে হবে কর্তৃপক্ষকে। খারাপ সময়ে যে শ্রমশক্তি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে তাদের পাশেই থাকবে কর্তৃপক্ষ। কাজ করেছি বলেই বেতন পাব।” কারখানার আইএনটিটিইউসি নেতা জয়ন্ত রক্ষিত বলেন, “বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে আগামী দিনে বেতন পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এই আশঙ্কার মধ্যেও ন্যূনতম উৎপাদন বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।” ডিএসপির মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায় জানান, “নির্দেশ মতন বন্ধ বিভাগ খোলা হবে। আশঙ্কার মতো কিছু নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.