প্রতীকী ছবি
অর্ণব আইচ: জাল পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে আরও বড় সাফল্য পুলিশ, গোয়েন্দাদের। দত্তপুকুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মোক্তার আলমের থেকে বহু তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তেমন কথাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এর আগে সমরেশ বিশ্বাস ও দীপক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জাল পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে তাঁরা দুজনেই সিদ্ধহস্ত।
গতকাল মঙ্গলবার মোক্তার আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সম্পর্কে পাওয়া তথ্য নিয়েও আগামীর পদক্ষেপ ঠিক করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ধৃত সমরেশ ও মোক্তার একই চক্রের সদস্য। তবে এই মোক্তার আরও বড়মাপের চক্রী। মোক্তার নিজের মতো করে সমান্তরালভাবে এই জালিয়াতি কারবার চালাতেন। এমনই দাবি পুলিশের।
কেমনভাবে কাজ চালাতেন এই ধৃত? মোক্তারের নিজস্ব এজেন্ট, সাব এজেন্ট রয়েছে। প্যাকেজ স্টিটেমে ভুয়ো নথি থেকে পাসপোর্ট তৈরির কাজ করতেন মোক্তার। এই কাজের জাল বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে। অনুপ্রবেশকারীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করত। আর তারপরেই কাজ শুরু করতেন মোক্তার ও তার টিম। নাম, ঠিকানার তালিকা তাদের কাছে আগে থেকেই থাকত। সেই অনুযায়ী এপারে অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করা হত। পরিচয়পত্রে কার্যত খোলনলচে বদলে যেত অনুপ্রবেশকারীদের। ধর্ম পর্যন্ত বদলে দেওয়া হত বলে খবর।
বাংলাদেশ থেকে অবৈধ লোক পারাপার করাতেন তাঁরা। অনুপ্রবেশকারীদের এপারে থাকার ব্যবস্থাও করা হত। কখনও অন্য রাজ্যেও অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হত। তাহলে কি অন্য রাজ্যেও সমান সক্রিয় রয়েছে মোক্তারের? সেই প্রশ্নও জোরালো হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালে ভুয়ো নথি তৈরির মামলায় চুঁচুড়া থানা গ্রেফতার করেছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন। গত কয়েক বছর ধরে সেই কাজ আরও বাড়িয়েছিল। সেই কথাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্তে আরও তথ্য সন্ধানে মরিয়া কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সমরেশ চক্রের এক ব্যক্তিকে লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। আমতা পোস্ট অফিসের অস্থায়ী কর্মীকেও জেরা করা হয়েছে। আমতা পোস্ট অফিসে আসা পাসপোর্ট ওই অস্থায়ী কর্মী সরাসরি তুলে দিতেন সমরেশ ও তাঁর এজেন্টদের হাতে। সেই মারাত্মক অভিযোগও সামনে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.