নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মাঝরাতে ঘরের মধ্যে পড়শি যুবকের বক্ষ সংলগ্না বাড়ির বউমা। সেই দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিলেন শাশুড়ি। চিৎকারও করে ফেলেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ধারালো দা দিয়ে প্রমিকার শাশুড়ির গলায় কোপ মারে পড়শি যুবক। বীরভূমের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। অন্যদিকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিক। ঘটনাকে ঘিরে মল্লারপুর থানার আওদা বড়্গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চাঞ্চল্য।
প্রতিবেশী উৎপল বাগদির সঙ্গে বাড়ির ছোট বউয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। পাড়ায় এনিয়ে গুঞ্জনও ছিল। কিন্তু হাতেনাতে ধরা যায়নি। বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ উৎপলকে বাড়িতে ঢুকতে দেখেন ঝর্ণা মণ্ডল। ঘরের মধ্যে দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেই চিৎকার করে ওঠেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে রাখা দা দিয়ে তাঁর গলায় কোপ মারে বলে উৎপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। চিৎকারে লোক জড়ো হলে পালিয়ে যায় সে।
ঝর্ণাদেবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মল্লারপুর পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। ৬৮ বছরের ঝর্ণাদেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাতে মল্লারপুর থানার পুলিশ এলে উৎপলকে বাড়ির পাশেই একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, লোকলজ্জার ভয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.