সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ছেলে-বউয়ের সংসারে বোধহয় ‘বোঝা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বৃদ্ধা। তাই ডাইনি অপবাদ দিয়ে বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই ছেলে ও বউমার বিরুদ্ধে। বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। যদিও বৃদ্ধার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে অভিযুক্তরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণপুরের বাসিন্দা বছর আটষট্টির মালতী মাঝি। কয়েকবছর আগে বৃদ্ধার স্বামী নরেন্দ্রনাথ মাঝি মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর দুই ছেলের সঙ্গেই থাকতেন ওই বৃদ্ধা। বছর দু’য়েক আগে ধুমধাম করে বড়ছেলে মিন্টুর বিয়ে দেন তিনি। দুই ছেলে আর বউমাকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল মালতীদেবীর। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। আচমকাই বদলাতে শুরু করে সন্তানদের আচরণ। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বৃদ্ধা। অভিযোগ, খেতেও দেওয়া হত না তাঁকে।
পেটের টানে লোকের বাড়ি কাজ করতে শুরু করেন মালতী দেবী। সেখান থেকে যা পেতেন তাতেই তাঁর দু’বেলা দুমুঠোর ব্যবস্থা হতো। দিনের শেষে ফিরতেন বাড়িতে। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। কারণ, বেশ কিছুদিন আগেই সমস্ত সম্পত্তি ছেলেদের নামে লিখে দিয়েছিলেন। ফলে বৃ্দ্ধাকে বাড়িতে রাখতেও অস্বীকার করেন দুই ছেলে। শুরু হয় শারীরিক অত্যাচার। এরপর ‘ডাইনি’ অপবাদে বৃদ্ধাকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেয় ছেলে ও বউমা।
[আরও পড়ুন: চরমে অন্তর্দ্বন্দ্ব, বনগাঁর পুরপ্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ তৃণমূলের]
বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় ঠাঁই হয় মালতীদেবীর। স্থানীয়দের নজরে পড়তে তাঁরা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানায়। পুলিশ গ্রামে গেলে বৃদ্ধা তাঁদের জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের প্ররোচনায় বড় ছেলে মিন্টু আর বউমা টুম্পা মারধর করে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে বৃদ্ধার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিন্টু ও তাঁর স্ত্রী টুম্পা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.