সুমন করাতি, হুগলি: গৃহস্থের বাড়ির ইলেকট্রিক বিল ৪৫ হাজার টাকা। দেখে চক্ষুচড়ক গাছ গৃহকর্তার। টাকা মেটাতে না পারায় বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের অফিসের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা।
পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁসারিপাড়া ওয়াজিদনগরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মণ্ডল। জানিয়েছেন, বহু বছর ধরে এই এলাকায় বাসিন্দা তিনি। বিদ্যুতের বহু বিলও দিয়েছেন। কখনও দেড় হাজার টাকা, কখনও ১ হাজার ৭০০ টাকা কখনও বা ২ হাজার ৫০০টাকা। কিন্তু এবারে একেবারে ৪৫ হাজার টাকার বিল আসতেই তাঁর মাথায় হাত।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বনাথবাবু জানিয়েছেন,তাঁর স্ত্রী হৃদরোগে ভুগছেন। শয্যাশায়ী। বউমা অন্তঃসত্ত্বা। এই অবস্থায় বিল না দিতে পারায় কেটে দেওয়া হয়েছে তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ। বাড়ির বড় বউমা জানান, “দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের হাত দু’হাজার টাকার মধ্যেই বিল আসে। তারপর আমরা রান্নাঘরে চিমনি ও ওয়াশিং মেশিন কিনি। তারপরেও তিন মাসে আড়াই হাজার টাকার মধ্যেই বিল আসত। কিন্তু এবারের বিলে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে আমাদের। বিশ্বনাথবাবু বলেন, “বারবার অফিসে গিয়ে আবেদন করলেও কোনওরকম সুরাহা হয়নি। বরঞ্চ ইলেকট্রিক অফিস তাদের মতো একটি চ্যালেঞ্জ মিটার লাগিয়ে বলেছিল, সবই ঠিক আছে। তিন মাসে ৪৫ হাজার টাকার বিল না ভরতে পারায় অবশেষে আমাদের বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে গিয়েছে।”
এখন কথা হচ্ছে, যেখানে মাসে একটি সাধারণ পরিবারের বিদ্যুতের বিল ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে বিল আসে, সেখানে হঠাৎ করে ৪৫ হাজার বিল কীভাবে আসে! উঠছে প্রশ্ন। বিশ্বনাথবাবুর এই পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেশী থেকে এলাকাবাসী সকলেই স্তব্ধ। তাঁদের পরিবারের তরফে জানানো হয় তারা কনজিউমার ফোরামে অভিযোগ জানাবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.