নিজস্ব চিত্র
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পুলিশের নজর এড়িয়ে সন্দেশখালিতে ঢুকেছিলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার ঠিক একই কৌশলে থমথমে সন্দেশখালিতে বামপন্থী বিশিষ্টজনেরা। মুখ ঢেকে গ্রামবাসীদের ভিড়ে মিশে উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছন তাঁরা। গ্রামে ঘুরে ঘুরে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকালে বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, সৌরভ পালধী, জয়রাজ ভট্টাচার্য, বিমল চক্রবর্তী, সীমা মুখোপাধ্যায়রাও গ্রামে যান। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় চারজন করে ভাগে ভাগে নতুনপাড়া, পোলপাড়া এলাকায় যান তাঁরা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। জমি, ভেড়ি লুট এবং নারী নির্যাতন সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ শোনেন বামপন্থী বিশিষ্টজনেরা।
এর পর ধামাখালিতে পৌঁছে অভিনেতা বাদশা মৈত্র বলেন, “মহিলাদের লড়াইকে কুর্নিশ। সবাইকে বলেছি কোনওভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সমস্যা সমাধান প্রশাসনকে করতে হবে। আইন মেনেই করবে। বার বার বলেছি কোনও ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নিয়ে ভেদাভেদ করবেন না।” অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বাদশা।
তবে সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে ন্যাজাটে কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের যেতে দেওয়া সম্ভব নয়। কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পুলিশের বচসা বেঁধে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রামে পৌঁছতে পারেনি কংগ্রেস। উল্লেখ্য, এর আগে সন্দেশখালি আসার পথে সায়েন্স সিটিতে আটকে দেওয়া হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয় তাঁকে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.