নিজস্ব ছবি
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: প্রায় ছয় মাস ধরে বকেয়া ছিল বিদ্যুৎ বিল। যা সংগ্রহ করতে আক্রান্ত হলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। অভিযোগ, তাঁদের বাঁশ, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। জখম চার কর্মীর চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। এই ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার পরিমল সরকার। পলাতক এক অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে তৎপর হয়েছে বিদ্যুৎ বন্টন দপ্তর। সিউড়ি দুই ব্লকের গাংটে গ্রামের বাসিন্দা জগু বৈদ্যের গত ছয় মাস ধরে বিদ্যুৎ বিলা বকেয়া ছিল। তাই তাঁর পোলট্রি ফার্মের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে ওই গ্রামে যান দপ্তরের ঠিকা কর্মীরা। এক সুপারভাইজার, গাড়ির চালক-সহ মোট পাঁচজন ছিলেন। কর্মীরা জানান, পোলট্রি ফার্মের বিল তো বাকি ছিল, কিন্তু এলাকায় গিয়ে দেখি হুকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ করে তারা পাশের পুকুরের জল মারছিল।
অভিযোগ, এদিন কর্মীরা জেলা কর্তাদের নির্দেশ মতন হুকিং ও পোলট্রি ফার্মের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে তাঁদের উপর হন জগু বৈদ্য ও তাঁর ছেলে পবন বৈদ্য। আক্রান্ত বিদ্যুৎ কর্মী সুভাষ লেট জানান, “বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে মই থেকে নামছি তখনই কিল, চড়-ঘুষি মারা শুরু হয়। পরে জগু বৈদ্য একটা মোটা বাঁশ এনে আমাকে মারে। আমাদের বাকি কর্মীরা তাঁদের ছাড়াতে গেলে তাঁদের উপরও আক্রমণ চালায় দুজন। মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকি প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়।” এরপর পাঁচজনের মধ্যে একজন কোনও রকমে পালিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরে খবর দিলে সিউড়ি থানার পুলিশ গ্রামে আসে। সেখান থেকে জখমদের উদ্ধার করে। চার জনকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুভাষের স্ক্যান করা হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে, রিজিওনাল ম্যানেজার পরিমল সরকার জানান, ” আগে কর্মীদের সুস্থ করি। তারপর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে, জগুকে আটক করা গেলেও তার ছেলে পবন পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.