কৃষ্ণকুমার দাস: জল্পনায় ইতি। দলত্যাগের সমস্ত সম্ভাবনা উড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই থাকলেন মুকুল রায়। শুধু থাকলেনই না, কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপির বিরুদ্ধে।
[ পণের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বাকে খুনের অভিযোগ, চণ্ডীপুরে উত্তেজনা ]
কদিন ধরেই জল্পনা ছড়াচ্ছিল। শোনা যাচ্ছিল, একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নাকি দলত্যাগ করতে চলেছেন। একদিকে বিজেপি নেতারা রাজ্যে এসে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন। সে সময় তৃণমূলের চাণক্যর নীরবতা অনেকের কাছে আশ্চর্যজনক ঠেকেছিল। শোনা যাচ্ছিল, মুকুল রায় নাকি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেছেন। বৈঠকও করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে। এ জল্পনা আরও উসকে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আগামী দিনে অনেক নেতাই বিজেপিতে আসবে। এতে জল্পনা আরও বাড়ে। যদিও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তৃণমূল জোটবদ্ধ ভাবেই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এবং এই লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দ্বিতীয় কোনও মুখের গ্রহণযোগ্যতা নেই বাংলার মানুষের কাছে। দলের একতারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
[ স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহারে রাশ টানার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর ]
বাস্তবে দেখা গেল সেটাই সত্যি। সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে ফের তৃণমূলের মঞ্চে স্বমেজাজে মুকুল। মমতার পাশে বসেই আক্রমণ শানালেন বিজেপির বিরুদ্ধে। বললেন, “২০১৯-এ বিজেপি আর ক্ষমতায় ফিরে আসবে না। দেশকে বিজেপি যে দুর্দশার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে, তাতে ভারত থেকে ওদের বিদায় নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।” উল্লেখ্য, আজ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিন থেকেই বিজেপি ভারত ছাড়ো অভিযানের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। এদিনের মুকুলের বার্তায় দলের সেই কথাই স্পষ্ট হল। পাশাপাশি রাজ্য-রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ধরে চলতে থাকা জল্পনায় ইতিও পড়ল।
[ রাত নামলেই মন্দারমণির সৈকতে হাতছানি ‘সানি’, ‘ক্যাটরিনা’দের! ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.