সুব্রত বিশ্বাস: কর্তব্যরত অবস্থায় ট্রেন লাইনে গলা দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ইঞ্জিনিয়ার। শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ টিকিয়াপড়া ডিজেল শেডের মধ্য। এই ঘটনার জেরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে শেড চত্বর। অভিযোগ, কাজের চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ওই ইঞ্জিনিয়ার।
মৃতের নাম গণেশ নস্কর। সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (৯জি) বিকাশ আনন্দের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই এই আত্মহত্যা। এদিন বিকাশ আনন্দের বদলির দাবি তোলেন তাঁরা। লাইন থেকে দেহ সরাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে হাওড়া জিআরপি। এমনকী, হাওড়ার এডিআরএম এলেও বাধার মুখে পড়েন।
পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “বিকাশ আনন্দকে ফোর্স লিভে পাঠাতে হবে। না হলে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়বে।” গণেশ নস্করের মৃত্যুর দু’সপ্তাহ আগে শর্টিং ইয়ার্ডের অফিস সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী একইভাবে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে খবর। অমিতবাবুর অভিযোগ, সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিকাশ আনন্দের অনৈতিক কাজকর্মের চাপ পড়ছে বিভাগীয় কর্মীদের উপর। তাঁদের কথায়, “কাজের কোনও রুটিন নেই, অসময়ে কাজ করানো হচ্ছে। যার জেরে চাপের মধ্যে থাকছেন কর্মীরা। এই স্বেচ্ছাচারী অফিসারকে এখনই সরাতে হবে।”
রেল এই অভিযোগ না মানলে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ে। পূর্ব রেলের সিপিআরও জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অভিযোগের বিষয়ে রেলের সিদ্ধান্ত হবে। এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই বিকাশ আনন্দ এই মৃত্যুকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়ে বলেন, “মৃত্যুতে রাজনীতি টেনে আনা ঠিক নয়।” এদিকে রাত পর্যন্ত দেহ সরাতে না দেওয়ায় শেডের কাজকর্ম শিকেয় উঠে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.