শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: সোনা পাচারকাণ্ডে ফের সিআইডি-র জেরার মুখে পড়লেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। সোমবার সকালে দাসপুরের ভারতীর ভাড়া বাড়িতে হাজির হন রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। শেষ খবর অনুযায়ী, ঘণ্টা তিনেকেরও বেশি সময় ধরে ভারতী ঘোষের জেরা চলছে।
ভারতী ঘোষ তখন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। দাসপুরের এক সোনা ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন যে, তাঁর কাছ থেকে সোনা কিনে দাম দেননি জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার। শোরগোল পড়ে যায় প্রশাসনিক মহলে, তদন্তে নামে সিআইডি। এদিকে এই ঘটনার পর দীর্ঘদিন ফেরার ছিলেন ভারতী ঘোষ। তাঁর নাগাল পাননি তদন্তকারীরা। চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে এখন সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন একদা রাজ্যের দাপুটে এই মহিলা আইপিএস অফিসার। পশ্চিম মেদিনীপুরেরই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভারতী ঘোষকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁকে আর গ্রেপ্তার করা যাবে না। তবে ভারতী ঘোষকে জেরা করতে পারবেন সিআইডি আধিকারিকরা।
প্রচারের সুবিধার জন্য দাসপুরের কলমিজোর এলাকার চককৃষ্ণবাটি গ্রামে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। সেই বাড়িই এখন তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে সোনা পাচারকাণ্ডে ভারতীকে জেরা করতে চেয়ে তাঁর কলকাতার বাড়িতে নোটিশ পাঠায় সিআইডি। শেষপর্যন্ত ভারতী ঘোষের অনুরোধে শুক্রবার দাসপুরের ভাড়া বাড়িতে যান রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। ম্যারাথন জেরা করা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ফের দাসপুরের ভাড়াবাড়িতে যান সিআইডি আধিকারিকরা। শুরু হয় জেরা। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সোনা পাচারকাণ্ডে ভারতী ঘোষকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে মামলার দায়ের হওয়ার ১৪ মাস পর ভোটের সময়ই কেন তাঁকে সিআইডির জেরা? প্রশ্ন তুলেছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। প্রচার থেকে দূরে রাখতে সিআইডিকে রাজ্যের শাসকদল ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতী ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.