চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: মহালয়ায় দেবী দুর্গা মর্ত্যে পা দিলেন, পূজিত হলেন আবার মহালয়াতেই ফিরে গেলেন কৈলাসে। অভিনব একদিনের দুর্গাপুজো হয়ে গেল আসানসোল (Durga Puja at Asansol) শিল্পনগরীর বার্নপুরে।
হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে আগমনী দুর্গাপুজো (Durga Puja 2020) শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষেই। দামোদরের নদীর তীরে ধেনুয়া গ্রামের কালীকৃষ্ণ আশ্রমে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে দুর্গাপুজো। এই একদিনেই সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো হয়ে যায় একসঙ্গে। একদিনের এই অভিনব এই দুর্গাপুজো (One day Durga Puja) দেখতে বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে হাজির হন ধেনুয়া গ্রামে। তবে কোভিড পরিস্থিতির জন্য এবছর তুলনায় কম লোকজন জড়ো হয়েছেন মন্দির চত্বরে।
এখানকার পুরোহিত আশিষ ঠাকুর জানান, বিভিন্ন অ্যাখ্যান অনুযায়ী, পুজোর লোকাচারগুলি হয়। চার রকমের ভোগ তৈরি করতে হয় একদিনেই। দশমীর পুজো শেষে ঘট বিসর্জন হয়ে গেলেও মাতৃ প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন পাঁচদিনের দুর্গাপুজো এই একদিনে করে ফেলার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ? সেবাইত কালী ধীবর বলেন, ”এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও সেবাইত ছিলেন যতীন মহারাজ। তাঁর গুরুদেব তেজানন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো চালু করেছিলেন। বছর তিনেক আগে সেবাইত যতীন মহারাজ মারা গিয়েছেন।”
১৯৩০ সাল থেকে হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে এই পুজো হয়ে আসছে। দশভূজা দেবী এখানে সিংহবাহিনী হলেও অসুরদলনী নন। আগমনী দুর্গার সঙ্গে থাকেন দুই সখী – জয়া ও বিজয়া। ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দারা একদিনের এই পুজোয় মেতে ওঠেন প্রত্যেক বছর। তবে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ আসতেই তা দিনশেষে মিলিয়ে যাওয়ায় মন বিষন্ন হয়ে যায় সবার। এবার দেবী দুর্গার পুজো হতে আরও একমাস বাকি। তার আগেই মায়ের আবাহন হতে না হতেই বিসর্জনও হয়ে গেল বার্নপুরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.