ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: মুন্নাভাই এমবিবিএস-এ ‘মুন্না’ সেজে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন এক ডাক্তার৷ সে দৃশ্য ভোলার মতো নয়। সিনেমার সে দৃশ্যেরই যেন বাস্তবে পুনরাবৃত্তি হল রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায়৷ অন্য এক চাকরি প্রার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন আবগারি দপ্তরের এক অফিসার৷ এক্ষেত্রে প্রাণের ভয়ে নয়, পরীক্ষার্থীর সঙ্গে রফা হয়েছিল পঞ্চাশ হাজার টাকায়। তবে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি আবগারি দপ্তরের ওই অফিসার। পুলিশের হাতে ধরা পড়েন সর্দার মহম্মদ মেহতাব৷ যার হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন, সেই পরীক্ষার্থী ও তাঁর দাদাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদের পরীক্ষা দিতে এসে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থামনা এলাকার ঢাকুরিয়া বালিকা বিদ্যালয় থেকে গ্রেপ্তার হন ওই আবগারি অফিসার। জানা গিয়েছিল নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল দরানি নামে এক যুবকের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনি। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, উজ্জ্বলের হয়ে পুলিশের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাঁর দাদা পলাশের সঙ্গে পঞ্চাশ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছিলে ওই আবগারি অফিসারের। গ্রেপ্তারির পর নিজের পরিচয় গোপন রাখতে পুলিশকে মিথ্যা নাম বলেছিলেন ওই অফিসার।
বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, “ওই অবগারি অফিসার জানিয়েছেল তাঁর নাম শান্তনু দরানি। পরে তদন্ত করে তাঁর আসল পরিচয় পাওয়া যায়৷ তিনি হাওড়া জেলার অবগারি দপ্তরের এএসআই।” পুলিশ সূত্রে খবর, আসল পরীক্ষার্থী উজ্জ্বল দরানির দাদা পলাশের থেকে চুক্তির পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাকে জেরা করে উজ্জ্বলের সন্ধানও পাওয়া যায়। ধৃত তিনজনই এখন জেল হেফাজতে রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.