নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: পলাশিপাড়া শুটআউট কাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে৷ তদন্তে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, মৃত সুভাষ বিশ্বাসের সঙ্গে অভিযুক্ত বিভাস বিশ্বাসের স্ত্রীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল এবং গর্ভনিরোধক ওষুধের নাম করে যৌন উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতেন সুভাষ৷ এখানেই শেষ নয়, জানা গিয়েছে, আগেও দু’বার তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল বিভাস৷ শেষপর্যন্ত সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি৷
[বিশ্বাস করি না জঙ্গলমহলে কেউ খেতে পায় না, মন্তব্য মমতার]
রবিবার সাতসকালে বন্ধু সুভাষ বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করে বিভাস বিশ্বাস৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিডিও অফিস চত্বরে। অভিযুক্ত বিভাস বিশ্বাসের বাড়ি বিজয়নগরে। সিআরপিএফের জওয়ান ছিল সে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুভাষ ও বিভাসের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। এমনকী, শনিবার রাতে বন্ধুর সঙ্গে চড়ুইভাতিতেও শামিল হয়েছিলেন সুভাষ। রবিবার সকালে পলাশিপাড়ায় বিডিও অফিস চত্বরে একটি সারের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন সুভাষ। পায়ে হেঁটে ওই দোকানে আসে বিভাস। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন্ধুকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে দেয় সে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সকলে। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন অনেকেই। শেষ পর্যন্ত রক্তাক্ত অবস্থায় সুভাষকে উদ্ধার করে পলাশিপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এদিকে হইহট্টগোলের মাঝেই প্রথমে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বিভাস মণ্ডল। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা লাগোয়া পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশের দাবি ছিল, বিভাস সন্দেহ করত যে, সুভাষের সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছে তার স্ত্রী। ঘটনার দু’দিন পর পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে যে, পুলিশের সন্দেহই সঠিক৷ জেরাতে বিভাস স্বীকারও করেছে যে, সন্দেহের বসেই বন্ধুকে খুন করে সে৷ ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.