ছবি: প্রতীকী
অর্ণব দাস, বারাসত: ভুয়ো সিবিআই (CBI), ভুয়ো পুলিশকর্তার পর এবার পুলিশের (Police) জালে ধরা পড়ল সরকারি হাসপাতালের ভুয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের শংসাপত্র দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। জালিয়াতির কথা জানাজানি হওয়ার পর ওই ব্যক্তিকে মারধর করে অশোকনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ধৃতের নাম আকাশ দাস। জানা গিয়েছে, সে নিজেকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার (Fake Assistant Super Of Barasat Hospital) হিসাবে পরিচয় দিত। অভিযোগ, অশোকনগর, হাবড়া, আমডাঙা এলাকার কোনও বাড়িতে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সদস্য রয়েছে তা শুনলেই সেখানে হানা দিত আকাশ। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের শংসাপত্র থাকা ঠিক কতটা প্রয়োজন তা বোঝাত ওই ব্যক্তি। এমনকী নির্ঝঞ্ঝাটে শংসাপত্র পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কারও কাছ ২ হাজার আবার কারও কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিত সে। প্রতিবন্ধী ভাতা পাইয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিল ধৃত আকাশ।
তবে দিনের পর দিন কেটে যাওয়ার পরেও শংসাপত্র এবং ভাতা না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। আকাশের বাড়িতে হানা দেন প্রতারিতরা। তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন তাঁরা। কেন শংসাপত্র কিংবা ভাতা এখনও পাওয়া গেল না, কবেই বা পাওয়া যাবে, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়। যদিও সে প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি অভিযুক্ত। তাতেই বেজায় চটে যান প্রতারিতরা। অভিযুক্ত আকাশকে মারধরবিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের শংসাপত্র দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছেও করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অশোকনগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভুয়ো চিকিৎসকের (Fake Doctor) পর্দাফাঁস হয়েছে আগেই। দিনকয়েক ধরেই একের পর এক ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক, পুলিশকর্তা পুলিশের জালে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নীল বাতি লাগানো গাড়িও ব্যবহার করত। আবার কারও কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে উর্দি। একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে হাজার হাজার টাকার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তারই মাঝে এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল বারাসত হাসপাতালের ভুয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.