অর্ণব দাস, বারাসত: বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করায় খুন (Murder) হতে হয়েছে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে। গোবরডাঙা (Gobardanga) থানা এলাকার মছলন্দপুরের এই ঘটনায় পুলিশি তদন্ত নিয়ে খুশি নয় তার পরিবার। তারা চাইছেন সিবিআই (CBI) তদন্ত। রবিবার এলাকায় গিয়েছিলেন ন্যাশনাল তফসিলি জাতি (SC)কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের কাছেই ক্ষোভ উগরে দেন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। যদিও বারাসতের পুলিশ সুপারের দাবি, তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে।
গোবরডাঙা থানার মছলন্দপুরে নবম শ্রেণীর ছাত্রী খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল এক নাবালক। রবিবার ন্যাশনাল এসসি কমিশনের প্রতিনিধিরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ন্যাশনাল এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, “পরিবারের সঙ্গে কথা বললাম। তারা ন্যায়বিচার পাবে। পরিবারের থেকে পুলিশ সাদা কাগজে সই করিয়েছে। এতে আমাদের আপত্তি আছে। পুলিশ যদি এই মামলা ঘোরানোর চেষ্টা করে তাহলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বারাসত জেলা পুলিশ সুপার (SP) ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এ বিষয়ে জানিয়েছেন, গুরুত্ব সহকারেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, তদন্ত সঠিক পথেই চলছে। যদিও পুলিশের তদন্তে খুশি নন বলে জানিয়েছেন মৃতার মা শ্রাবন্তী গোলদার। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ”আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। ন্যাশনাল এসসি কমিশনের প্রতিও ভরসা আছে।” মছলন্দপুরের রাঘবপুর কাহারপাড়ার বাসিন্দা বছর মেয়েটি গত ২৯ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করা হলেও তার হদিশ পাওয়া যায়নি। পরেরদিন সকালে বাড়ির অদূরে একটি বাগানের গাছে নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে দাবি করে পরিবার।
জানা গিয়েছে, নাবালিকাকে পছন্দ করত প্রতিবেশী এক কিশোর। সে নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব (Marriage proposal) দিয়েছিল। কিন্তু ছাত্রী সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাঝেমধ্যেই উত্যক্ত করত ওই কিশোর। খুনের ঘটনার পর তাকে পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে নাবালিকাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করার পর বাগানের একটি গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা নাবালক স্বীকার করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.