Advertisement
Advertisement
Maldah

চাঁচোলে দগ্ধ তরুণীর দেহ শনাক্ত করলেন বাবা, কাটোয়া থেকে গ্রেপ্তার ১

কেন এমন নৃশংস ঘটনা? সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

father identified body of young girl, was burnt to death in Maldah, arrested from Katwa

প্রতীকী ছবি

Published by: Suhrid Das
  • Posted:December 28, 2024 4:20 pm
  • Updated:December 28, 2024 4:22 pm  

বাবুল হক, মালদহ: মালদহের চাঁচোলের তরুণীর দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারে বড় সাফল্য পেল পুলিশ। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবু তালেব নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার রাতে ওই ব্যক্তিকে মহিলার সঙ্গে রাস্তায় দেখা গিয়েছিল। এদিকে মৃতার পরিচয়ও শনিবার সকালে জানতে পারা গিয়েছে। পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কেন এমন নৃশংস ঘটনা? সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচোলের ওই মহিলার নাম, পরিচয় জানা গিয়েছে। এদিন সকালে মৃতার বাবা আধার কার্ড দেখে মেয়ের পরিচয় জানান। পরে মর্গে মৃতদেহ দেখে তিনি শনাক্তও করেছেন। জানা গিয়েছে, ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। তিনি আদিবাসী গৃহবধূ ছিলেন। বছর ১৫ আগে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সাংসারিক অশান্তির কারণে তিনি চাঁচোলে বাপেরবাড়ি এসে থাকছিলেন। তাঁর তিন সন্তানও আছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি ছিলেন না। রাতেও ফেরেননি। শুক্রবার পরিবারের লোকজন আমবাগানে মহিলার একটি দগ্ধ মৃতদেহের কথা জানতে পেরেছিলেন। শুক্রবারও মেয়ে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই মহিলার পরিচয় তারপরই জানা যায়। এদিকে পুলিশও ঘটনার পর থেকে জোরালো তদন্ত শুরু করেছিল। অকুস্থল আমবাগানের থেকে কিছু দূরে বিডিও অফিস, সামসী রেল স্টেশন। ওই এলাকার সিসিটিভি পরীক্ষা শুরু করেন তদন্তকারীরা।

দেখা যায়, রাস্তায় ওই মহিলার সঙ্গে আবু তালেব নামে ওই ব্যক্তি হেঁটে যাচ্ছেন। পরে ওই ব্যক্তিকে রেল স্টেশনে দেখা যায়। পুলিশ জানতে পারে, টিকিট কেটে ওই ব্যক্তি রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে উঠে কলকাতা যাচ্ছেন। ট্রেন সেইসময় বর্ধমানের কাটোয়া স্টেশন এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। চাঁচোলের তদন্তকারীরা কাটোয়া থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্টেশনে ট্রেন থামলে কাটোয়া থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে চাঁচোল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ওই ব্যক্তিই এই নৃশংস কাজ করেছেন। তেমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই মহিলার সঙ্গে কি কোনও সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁর? কেন ওই মহিলাকে খুন করা হল? একাধিক সেই প্রশ্ন উঠছে। ওই মহিলাকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগও সামনে আসছে। ধৃত এই ব্যক্তি কি একা এই কাজ করতে পারেন? নাকি আরও কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে? সেই বিষয়ও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তদন্তের স্বার্থে খুব বেশি কিছু বলতে চাইছে না পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement