সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌথ পরিবারের সন্তান। ভাইবোন নিয়ে মিলেমিশে থাকতে শিখেছে সে। যে ছেলেটা আর পাঁচজনের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে, সে কারও প্রাণহানির কারণ হতে পারে না। আত্মবিশ্বাসী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সুমন নস্করের বাবা। সহমত তার দিদিও।
ক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার আট মসিপুর গ্রামে জন্ম সুমন নস্করের। ছোট থেকেই মেধাবী। ছেলের পড়াশোনার সুবিধার কথা ভেবে মন্দিরবাজার থানার মাধবপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন পরিবারের সকলেই। ওই ভাড়াবাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার সুমন। ধৃতের বাবা জগদীশ নস্কর বলেন, “পুলিশ এল। এসে দরজা খুলতে বলল। আমি আর আমার স্ত্রী দরজা খুললাম। আমার নাম জিজ্ঞাসা করল। ছেলে কোথায় জিজ্ঞাসা করল। আমি ছেলেকে ডাকলাম। আধার কার্ড দেখতে চাইল। দেখালাম। আমি জানতে চাইলাম কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? বলল যাদবপুরে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছি। এখন গ্রেপ্তার করছি না। ফোন নম্বর লিখে নিল। বলল পরে আইনতভাবে কিছু হলে জানাব।”
হস্টেলে যাদবপুরের নিহত ছাত্রের ঠিক পাশের ঘরেই থাকত সুমন। অভিশপ্ত রাতে ঘটনাস্থলে থাকা তো দূর, হস্টেলেও সুমন ছিল না বলেই দাবি তার বাবার। কোনও এক বন্ধু ফোন করে বাইরে যেতে বলেছিল তাকে, সে কারণে বাইরে চলে গিয়েছিল বলেই জানান তিনি। জগদীশবাবুর দৃঢ় বিশ্বাস, যৌথ পরিবারের সন্তান হয়ে এই ঘটনার সঙ্গে কখনও যুক্ত থাকতে পারে না সুমন। যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে ধৃত ছাত্রের সঙ্গে তার দিদির কথা হয়েছিল। বারবার জানিয়েছিল এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই সে জড়িত নয়। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে ভাইয়ের গ্রেপ্তারিতে অবাক হয়ে গিয়েছেন সুমনের দিদি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.