ছবি: প্রতীকী
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাজ্যপালের শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ। পুলিশের জালে বর্ধমানের ৮ জন। অভিযোগ, সরকারি চাকরির নামে অভিযুক্তরা কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে তোলা হবে ধৃতদের।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করাই হবে ওই পদে নিযুক্তদের কাজ। অর্থাৎ সরকারি চাকরি। ওই পদে কর্মরতরা বেতন হিসেবে পাবেন ২৫ হাজার টাকা। সত্যম রায় নামে প্রতারিত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি দেখেই তিনি যোগাযোগ করেছিলেন অভিযুক্তদের সঙ্গে। এরপর এক এক আবেদনকারীর কাছ থেকে একেক রকম টাকা দাবি করা হয়। তাঁর থেকে প্রথম ধাপে নেওয়া হয়েছিল ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এরপর আবেদনকারীদের তিনদিনের ট্রেনিং হয় বারাসতে। তারপর প্যানেল লিস্টও প্রকাশিত হয়, ফলে বিষয়টির নেপথ্যে প্রতারণা চক্র রয়েছে, তা বুঝতে পারেননি কেউই।
জানা গিয়েছে, ওই সংস্থাটিকে ভরসা করেছিল আড়াই থেকে তিন হাজার যুবক-যুবতী। সরকারি চাকরির আশায় কোনও কিছু না খতিয়ে দেখেই তুলে দিয়েছিল টাকা। সংস্থার তরফে তাঁদের দেখানো হয়েছিল রাজ্যপালের শংসাপত্র, বিষয়টা না বুঝতে পারলেও জগদীপ ধনকড়ের ছবি তাঁদের ভরসা জুগিয়েছিল। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে অভিযুক্তরা। চক্রটির পদার্ফাঁস হতেই মাথায় হাত চাকরিপ্রার্থীদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১,১০,৫০০ টাকা। মিলেছে ৭ টি মোবাইল, ১ টি গাড়ি, ৩ টি পেনড্রাইভ, স্ট্যাম্প ও সংশাপত্র। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের মূল পাণ্ডা দেবকুমার চট্টোপাধ্যায় এখনও পলাতক। বিরাটির নিমতার বাসিন্দা সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.