(বাঁদিকে) চিকিৎসক সোমরাজ সরকার এবং (ডানদিকে) সুভাষ সরকার
টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে রোগীমৃত্যু। এই ঘটনায় বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের চিকিৎসক ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর। যদিও এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বাঁকুড়ার ওই নার্সিংহোমের মালিক তথা বিজেপি প্রার্থী। মুখ খুলতে নারাজ অভিযুক্ত চিকিৎসক সোমরাজ সরকারও।
বাঁকুড়ার লালবাজার কামারপাড়ার বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের মৌসুমী দে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মৌসুমীর স্বামী তন্ময় দে জানান, সোমরাজ সরকারই তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসা করছিলেন। অস্ত্রোপচারের জন্য গত ২৪ মার্চ ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আচমকাই মৌসুমীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মুত্যু হয় তাঁর। নার্সিংহোমের সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়স্বজনরা।
বাঁকুড়া সদর থানায় অভিযোগ জানান মৃতার স্বামী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন জানান, “আমরা তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছি।” জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তদন্তে চিকিৎসক সোমরাজ সরকারের গাফিলতি ধরা পড়ে বলেই খবর। নার্সিংহোমে উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও ওই রোগীকে ভর্তি করানো হয় বলেও অভিযোগ।
তাই বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের ছেলে সোমরাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” তবে সুভাষ সরকার কিংবা সোমরাজের তরফে এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.