বিক্রম রায়, কোচবিহার: সাতসকালেই কোচবিহার শহরের পাঁচতলা আবাসনে আগুন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল মা ও ছেলের। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার শহরের নিউ কদমতলা মোড় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল। দু’টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মা ও ছেলের।
সোমবার সকালে প্রাতঃভ্রমণকারীরা প্রথমে আগুন দেখতে পান। আবাসনের পাঁচতলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেই তাঁরা চিৎকার করেন। আবাসনের অনেকেই সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন। প্রাতঃভ্রমণকারীদের চিৎকারে ঘুম ভাঙে। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আশেপাশের বাড়ির লোকজনও ঘরের থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। আবাসনের বাসিন্দা সুরজিৎ বণিক জানান, বেরিয়ে আসার পরে তিনি জানতে পারেন দমকলে খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এদিকে বাড়তে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা।
এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে করে দমকলের অফিসে পৌঁছে যান সুরজিৎবাবু। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, দমকলকর্মীরা কোনও খবরই পাননি। সুরজিৎবাবুর কথা শুনেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। পাঁচতলার গ্রিলের দরজা বাইরে দিয়ে দেওয়া ছিল। তা ভেঙেই সুজয় সরকার (৩২) এবং তাঁর মা সুপ্রিয়াদেবীর (৫১) অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সুরজিৎবাবু জানান, মৃত সুজয় ও তাঁর মা ফ্ল্যাটে থাকতেন না। বাবার মৃত্যুর পরই মাকে নিয়ে পুণেতে চলে গিয়েছিলেন ৩২ বছরের যুবক। সেখানেই থাকতেন। চার-পাঁচদিন আগে কোচবিহারে ফেরেন। কীভাবে এই আগুন লাগল, সেই সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই বিপত্তি।পুরো বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও খবর। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.