সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আগুন শহরে। বৃহস্পতিবার রাতে কামারহাটি (Kamarhati) জুটমিলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের (Fire) ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল কর্মীদের মধ্যে। সেসময় নাইট শিফটের কাজ চলছিল। আগুন লাগার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ। কর্মীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। প্রাণহানির খবর না থাকলেও, কারখানার ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।
ঘড়িতে তখন সবে ১০টা পেরিয়েছে। নাইট শিফটের (Night Shift) কাজ শুরু হয়েছে কামারহাটি জুটমিলে। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে চলছে কড়া বিধিনিষেধ। তবে জুটমিল এবং অন্যান্য কারখানাগুলিতে ৩০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ চালানোর অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেইমতো বিধি মেনে রাত্রিকালীন কাজ চলছিল জুটমিলে। আচমকাই কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। আতঙ্কিত শ্রমিকরা নিজেরাই বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে অবশ্য কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। প্রাথমিকভাবে ভয় পেলেও উপস্থিত বুদ্ধির জোরে সকলেই কারখানার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
খবর পাঠানো হয় দমকলে। কারখানা সূত্রে খবর, বরানগর, দমদম থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসে। মোট ৫ টি ইঞ্জিন ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়্ন্ত্রণে আনে। কারখানার ভিতরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূ্র্ণ যন্ত্রাংশ। রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও পকেটে ফায়ার থাকায় রাতে আর কাজ হয়নি। সূত্রের খবর, দিন কয়েক বন্ধ থাকতে পারে কাজ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে শ্রমিকরা বলছেন, যেভাবে আগুন লেগেছে, তা থেকে বড় বিপদ হতে পারত।
প্রসঙ্গত, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের যে কয়েকটি জুটমিল এখনও পর্যন্ত ভালভাবে চালু রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কামারহাটি জুটমিল। নিয়মিত কাজ চলে এখানে। সেখানেই এত বড় অগ্নিকাণ্ডের জেরে মিল বন্ধ হয়ে যেতে, এই আশঙ্কায় ভুগছেন শ্রমিকরা। রাতেই জুটমিলে যান কামারহাটি পৌরসভার পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য। তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বাস দেন। অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তদন্ত হবে বলে জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.