সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরলেন এফবি নয়ন ট্রলারের মাঝি রবীন্দ্রনাথ দাস। শনিবার বিকেলে দমদম বিমান বন্দরে নামেন তিনি। কয়েকদিনের লড়াইয়ের ছাপ এখনও তাঁর চোখে মুখে স্পষ্ট। অশক্ত শরীরে কথা বলতে গিয়েও থতমত খাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ। তবে জীবন ফিরে পেয়ে বারবার বাংলাদেশের উদ্ধারকারী জাহাজের নাবিকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথবাবু।
আবহাওয়া দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন৷ বঙ্গোপসাগরের কেন্দুয়া দ্বীপের বেশ কয়েক কিলোমিটার পূর্বে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমার কাছে আচমকাই সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন মৎস্যজীবীরা৷ ডুবে যায় চারটি ট্রলার৷ নিখোঁজ হয়ে যান বহু মৎস্যজীবী। ঘটনার কয়েকদিন পর গত বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ার কাছে রবীন্দ্রনাথ দাসকে সমুদ্রে ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন এক পণ্যবাহী জাহাজের নাবিকেরা। ক্লান্তিতে নামখানার ওই মৎস্যজীবী তখন প্রায় অচেতন। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা ও যত্নে অনেকটাই চাঙ্গা হন কানু ওরফে রবীন্দ্রনাথ। তিনিই বর্ণনা করেন, জলের সঙ্গে তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি।
এরপরই বাংলাদেশের তরফে যোগাযোগ করা হয় কাকদ্বীপ ফিশারম্যান সংগঠনে। খবর পেয়ে রবীন্দ্রবাবুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি তাঁদের পরিবারের সদস্য। এরপর একটু সুস্থ হতেই শনিবার বাংলাদেশ থেকে এদেশে পাঠানো হয় রবীন্দ্রনাথবাবুকে। পরিবারের সদস্যকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মৎস্যজীবী। তিনি জানিয়েছেন, “ট্রলারটি উলটে যাওয়ার পরই ভেসে থাকা একটা লম্বা বাঁশ আঁকড়ে ধরেন সবাই। যদিও সবার গায়ে লাইফ জ্যাকেট ছিল, শুধু আমারই জোটেনি। ঢেউয়ের ঝাপটায় বাঁশ থেকে মুঠি খুলে যাচ্ছিল এক এক জন সঙ্গীর। কিছুতেই মুঠি ছাড়িনি আমি।” ওই মুহূর্তের কথা ভেবে এখনও আঁতকে উঠছেন রবীন্দ্রনাথবাবু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.