সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিপিএম-বিজেপি ঘোরা হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল তাঁকে দলে নিতে অস্বীকার করেছে। অগত্যা কংগ্রেসেই যোগ দিচ্ছেন লক্ষ্ণণ শেঠ। সব ঠিক থাকলে আজ বিকেলের মধ্যেই প্রদেশ দপ্তরে গিয়ে কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেবেন একসময়ের সিপিএমের প্রথম সারির নেতা। সূত্রের খবর, তমলুক কেন্দ্র থেকে লোকসভার প্রার্থী হতে পারেন লক্ষ্মণ।
কয়েক দশক ধরে মেদিনীপুরে দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন লক্ষ্মণ। কিন্তু. ২০১৪ সালে পার্টি থেকে লক্ষ্মণ শেঠকে বহিষ্কার করে সিপিএম। তারপর ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। সেখানেও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি তিনি। ২০১৮ শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রের শাসকদলের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন হয় তাঁর। একটা সময় ভারত নির্মাণ পার্টি গঠন করেছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন লক্ষ্মণবাবু। কিন্তু নন্দীগ্রামের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠা এই নেতাকে কোনওভাবেই দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি তৃণমূল।
প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন প্রাক্তন সাংসদ। দলীয় সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখা করেন। বার দুয়েক দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা হয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও আলোচনা হয় প্রাক্তন সাংসদের। কিন্তু, নন্দীগ্রাম কাণ্ডের ‘নায়ক’কে দলে নিতে তীব্র আপত্তি জানায় প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন খোদ বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। তাছাড়া, সেসময় বামেদের সঙ্গে লোকসভা ভোটে জোট নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিল কংগ্রেস। লক্ষ্মণ কংগ্রেসে যোগ দিন, এটা চাইছিল না সিপিএমও। তাই মাঝখানে তাঁর যোগদানের জল্পনায় ইতি পড়ে যায়।
সিপিএমের সঙ্গে জোট ভাঙতেই ফের আলোচনা শুরু হয় দুই শিবিরের। এরপর কংগ্রেস তমলুক আসনে প্রার্থী না ঘোষণা করায় অনেকেরই ধারণা তৈরি হয়েছিল, লক্ষ্ণণ যোগ দিলে তাঁকেই ওই আসন থেকে প্রার্থী করা হবে। বিধান ভবন সূত্রের খবর, সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়তে চলেছে। আজই কংগ্রেসে শামিল হবেন প্রাক্তন সাংসদ। লোকসভায় লড়তে পারেন নিজের পুরনো কেন্দ্র থেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.