সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মেচেদা কাণ্ডের রহস্যভেদ করল পুলিশ। ট্রেনে ট্রলি থেকে উদ্ধার হওয়া হাসান আলি মোল্লাকে খুনের অভিযোগে মূল পাণ্ডা-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে টাকা হাতাতেই কী খুন? ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই গোটা বিষয়টি জানা যাবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। মেচেদা স্টেশনের কারশেডে ট্রেন পরিস্কার করার সময় সাফাইকর্মীরা একটি ট্রলির মধ্যে থেকে উদ্ধার করে এক ব্যক্তির দেহ। তদন্তে উঠে আসে যে, মৃতের নাম হাসান আলি মোল্লা। জানা যায়, বউবাজার এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। তিনি দিঘায় একটি হোটেল লিজ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। দালালকে সেই টাকা দেওয়ার জন্য দিঘা যাওয়ার পরই উধাও হয়ে যান ওই ব্যক্তি। দেহ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন রাজু হালদার নামে এক দালাল পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে ওই ব্যক্তিকে। এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে মৃতের দ্বিতীয় স্ত্রীর যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান করেন তদন্তকারীরা।
এই পরিস্থিতিতে হোটেল ও স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে রাজুকে শনাক্ত করে ফেলে তদন্তকারীরা। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় রাজু ওরফে তৌহিজ উদ্দিন শেখ। তার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গৌতম জানা, দুর্গাশংকর সেনাপতি ও পেশায় টোটোচালক প্রণবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খুনের পিছনে মোটিভ কী? শুধুই কি টাকা? তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.