সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হলদিয়া কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য। ধৃত সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, সম্পর্ক থাকাকালীন রিয়ার আচরণে বিরক্ত হয়েই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সাদ্দাম। আট মাস আগে বিয়ে করেছিল অভিযুক্ত। এরপরই নতুন করে শুরু টানাপোড়েন।
জানা গিয়েছে, রিয়ার সঙ্গে সাদ্দামের পরিচয় হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। ২০১৮ দুর্গাচকের হাজরা মোড়ে একটি ভাড়া বাড়িতে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে সাদ্দাম-রিয়া। রমাদেবীরও যাতায়াত ছিল সেখানে। তিনজন একসঙ্গে দিঘা, মন্দারমণি ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও গিয়েছে।
সাদ্দামের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারায় সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল সাদ্দাম-রিয়ার প্রেম। কিন্তু আচমকাই সাদ্দাম জানতে পারে যে, একাধিক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রিয়ার। বিভিন্ন নামে ফেসবুকে অ্যাকাউন্টও রয়েছে তাঁর।
বিষয়টি জানাজানি হতেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সাদ্দাম। এরপরই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দেখিয়ে অভিযুক্তকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে রিয়া ও রমা। জেরায় সাদ্দাম জানায়, সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে বছর খানেক আগে রিয়াকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিল সে। এরপর সাময়িকভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে রিয়া-রমা। এর মধ্যেই মাস আটেক আগে বিয়ে করে সাদ্দাম। অভিযোগ, বিয়ের খবর পেতেই ফের নড়েচড়ে বসে রিয়া ও তাঁর মা। স্ত্রীর কাছে ব্যক্তিগত ছবি পাঠানোর হুমকি দিয়ে সাদ্দামের কাছে আরও টাকার দাবি করতে থাকে তাঁরা। এরপরই বাধ্য হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি দুর্গাচকের ভাড়াবাড়িতে রিয়া ও রমার সঙ্গে দেখা করে সাদ্দাম। সেখানে রাতভর মদ্যপান করে তিনজন। মদের আসরে লেনদেন নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলে। এরপর তারা বেহুঁশ হতেই পরিকল্পনামাফিক প্রাক্তন প্রেমিকা ও তার মাকে খুন করে সাদ্দাম। তদন্তকারীদের কথায়, জেরায় সাদ্দাম যা জানিয়েছেন তার অনেকটাই সত্যি। রয়েছে অসংগতিও। তাই রহস্যের জট পুরোপুরি খুলতে সাদ্দামকে আরও জেরা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.