ধীমান রায়, কাটোয়া: ভূত চতুর্দশীর দিন থেকে ‘ভূতে’র উপদ্রব! আতঙ্কে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের রামনগরের বাসিন্দারা।ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে ‘ভৌতিক’ বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ।
[ দুর্বিষহ জীবন, দোরে দোরে মৃত্যুভিক্ষা মা-ছেলের]
ব্যাপারটা কী? আউশগ্রামের রামনগরের আকুঁড়ে পাড়া এলাকায় বেশ কয়েক ঘর মানুষের বাস। তাঁদের দাবি, প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে সন্ধে নামলেই এলাকায় চার-পাঁচটি বাড়িতে ঢিল পড়ছে। কখনও আবার উড়ে আসছে মদের খালি বোতল, ভাঙা কাপ ও গ্লাসের টুকরোও! প্রথমে বিষয়টি তেমন আমল দেননি কেউ। কিন্তু, লাগাতার এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত এবং বিরক্ত রামনগরের আকুঁড়ে পাড়া এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারের দাবি, সন্ধ্যের পর কারা ঢিল ছুঁড়ছে, তা জানার জন্য কয়েকদিন রাতে পাহারাও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, তাতে লাভ হয়নি। কে বা কারা এসব করছে, তার কূল-কিনারা মেলেনি। ফলে আতঙ্ক বেড়েছে বহুগুণ।
রামনগরের আকুঁড়ে পাড়ায় থাকেন গৃহবধূ জোৎস্না আঁকুড়ে। ওই গৃহবধূর দাবি, তাঁর বাড়িতেই ‘ভূতে’র উপদ্রব সবচেয়ে বেশি। কালীপুজোর আগের দিন অর্থাৎ ভূত চতুর্দশীর সন্ধেবেলায় প্রথম বাড়ির ছাদে একটি ঢিল পড়ে। প্রথমে বিষয়টি তেমন আমল দেননি তিনি। জোৎস্না আঁকুড়ে-র দাবি, সেদিন রাতে ছাদে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি ঢিল পড়েছে। ভয়ে আর রাতে বাড়ি থেকে বেরোননি তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। এদিকে ঢিল পড়াও থামেনি। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে প্রতিদিনই সন্ধের পর নাকি বাড়িতে ঢিল পড়ছে! যে কোনও সময়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। ‘ভূতে’র হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন রামনগরের আঁকুড়ে পাড়ার বাসিন্দারা। তবে এফআইআর নয়, আউশগ্রাম থানায় মৌখিকভাবে ঘটনাটি জানিয়েছেন তাঁরা। এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ।
[ প্রিয়জনের স্মৃতিতে বৃক্ষশিশু রোপণ, পরিবেশ সচেতনতায় পথ দেখাচ্ছেন ‘গাছমাস্টার’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.