তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: ফের একবার বড় সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ(ডিআরআই)। পাচারের আগেই ৫ কোটির সোনা বাজেয়াপ্ত করল ডিআরআই। ঘটনায় গ্রেপ্তার মোট আটজন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম শাহানুর হক,রুবেল হোসেন,নুর মহম্মদ মিঁয়া, দেলাবর মিঁয়া,রেজাউল হক,রাসেল হক,রেজাউল রহমান এবং মেহেবুব হুসেন। এদের প্রত্যেকের বাড়ি কোচবিহারে। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে সোনা পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীরা।
সোমবার বিকেল থেকে মোট আটজন পৃথক তিনটি ট্রেনে চেপে কোচবিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। ডিআরআই সূত্রে খবর, শাহানুর হক এবং রুবেল হোসেন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে চেপেছিল। নুর মহম্মদ মিঁয়া এবং দেলাবর মিঁয়া সরাইঘাট এক্সপ্রেসে ছিল। বাকি চারজন রেজাউল হক, রাসেল হক, রেজাউল রহমান এবং মেহেবুব হুসেন পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে ছিল। গোপন সূত্রের মারফত সেই খবর পেতেই অভিযানে নেমেছিল ডিআরআই। এরপরই মেলে সাফল্য। পৃথক তিনটি ট্রেন থেকেই একে একে সকলকে পাকড়াও করা হয়। তাদের শিলিগুড়ি শাখার অফিসে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় আনুমানিক ৯ কেজি ৫৪৩ গ্রাম ওজনের মোট ৮০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। বৈধ কোনও নথি দেখাতে না পারায় ওই আটজনকে গ্রেপ্তার করে ডিআরআই।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ধৃতদের প্যান্টের ভিতরে আলাদা গোপন পকেট তৈরি করে সোনা পাচারের ছক কষা হয়েছিল। শেষ রক্ষা অবশ্য হল না। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে ডিআরআই জানতে পেরেছে বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে এদেশে নিয়ে আসার পর ওই বিপুল পরিমাণ সোনা কলকাতায় পাচারের ছক ছিল। সেক্ষেত্রে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ডিআরআই। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডিআরআই পক্ষের আইনজীবী রতন বণিক বলেন, “বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫ কোটি ৫৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৭৩ টাকা। ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.