চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: মাঝ সমুদ্রে পণ্য খালাসে ফের উল্লেখযোগ্য নজির হলদিয়া বন্দরের। বুধবার, মহাষ্টমীর ভোর ৬টা বেজে ২৫ মিনিটে এক লক্ষ ৬৪ হাজার ৯২৮ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করে ‘এম ভি সমজন সলিডিরাটি’। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা বেজে ১৫ মিনিটে ক্রেনের সাহায্যে জাহাজ থেকে মাল খালাসের কাজ শুরু হয়। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ২৭ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন পণ্য খালাস হয় জাহাজটি থেকে। যা একপ্রকার নজির বলেই দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের। এই সবটাই সম্ভব হয়েছে ভাসমান দুটি ক্রেনের জন্য।
[খেয়ে যেতে বলায় মা-কে গুলি করে খুন যুবকের, চাঞ্চল্য দিনহাটায়]
জানা গিয়েছে, বুধবার জাহাজটি বন্দরে প্রবেশ করলে প্রথমে সেটিকে স্যান্ডহেডে আনা হয়। সেখানে নাব্যতা সমীক্ষা ও শুল্কসংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এরপর প্রথমে দু’টি ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে পণ্য নামানোর কাজ শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল ১০.১৫টায়। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন পণ্য খালাসের পর সমগ্র পণ্যবাহী জাহাজকে হলদিয়ার ভাসমান জেটিতে নেওয়া হয়। এখানে রবিবারেরও চলবে বাকি পণ্য খালাসের কাজ। মোট এক লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য খালাসের পর বাকি পণ্য নিয়ে জাহাজটি পারাদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, ২৭ তারিখের মধ্যে এক লক্ষ মেট্রিক টনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী স্যান্ডহেডে খালাস করা যাবে।
[বিজয়া সারতে এসে বিপাকে জামাই, বেধড়ক মারধর করলেন স্ত্রী ও শাশুড়ি]
এই সাফল্যের জন্য সমস্ত অফিসার, স্টাফ ও ট্রেড পার্টনারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। তিনি বলেছেন, “নদীর নাব্যতা ও হলদিয়া বন্দরের লকগেটের কারণে খুব বড় জাহাজকে বন্দরে আনা যায় না। সাধারণত ৩০ হাজার টনের জাহাজ আসে। তবে কেপ সাইজ ভেসেলে পণ্যবহনের ক্ষমতা তিনগুণ বেশি। এতে পণ্য আনার খরচও অনেকটা কম পড়ে। প্রচুর প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর-ব্যবহারকারীদের সুযোগসুবিধা বাড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে ও নিত্যনতুন পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে। ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে পণ্য খালাস সেরকমই একটি পদ্ধতি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.