ছবি: প্রতীকী
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বিজেপি (BJP) নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়াল সুন্দরবন (Sundarban) পুলিশ জেলার সাগরের ঘোড়ামারায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই নেতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদেরা। তাঁদের পালটা অভিযোগ, স্বাভাবিক আত্মহত্যার ঘটনাকে ইস্যু করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের ঘোড়ামারা ২ নম্বর ব্লকের হাটখোলার বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক গৌতম পাত্র নামে বছর ৫২-এর ওই প্রৌঢ়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির অদূরেই একটি জঙ্গলের মধ্যে গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই বিজেপি নেতাকে ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। খুনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে শামিল হল স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী যায় ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি শান্ত করে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় তাঁরা। তবে ঘটনাটি খুন নাকি আত্মহত্যা, সে বিষয়ে এখনও সম্পূর্ণ অন্ধকারে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিললেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি দীপঙ্কর জানা অভিযোগ, বুধবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গৌতম পাত্রকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়া হয় বিজেপি করলে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। গভীর রাতে ফের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ওই প্রৌঢ়কে। তখনই তাঁকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, আমফানের দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তৃণমূলের তরফে। এ প্রসঙ্গে সাগরের তৃণমূল বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা বলেন, “সাধারণ একটা আত্মহত্যার ঘটনাকে ঘিরে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে। এলাকার পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে। মৃত ব্যক্তির চারিত্রিক কিছু দোষ ত্রুটি ছিল। তা নিয়ে এালাকার মানুষ অভিযোগ করছিল। বিষয়টি নিয়ে মৃতের পরিবারেও সমস্যা চলছিল। আত্মহত্যার ঘটনাকে খুন বলে প্রচার করে হাওয়া গরম করতে চাইছে বিজেপি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.