ছবি: প্রতীকী
ধীমান রায়, কাটোয়া: ছেলের বন্ধুর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মহিলা। ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন যুগল। কিন্তু এই প্রেমের পরিণতি হল মর্মান্তিক। একইগাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের।
পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কেতুগ্রামের নিরোল গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা বিশ্বাস। বয়স ৪৬। তাঁর দুই ছেলে, রমেশ ও গণেশ। জানা গিয়েছে, এই দুই যুবকের বন্ধু ছিলেন এলাকারই বাসিন্দা জয়দেব মণ্ডল। প্রায়শই পূর্ণিমাদেবীর ছেলেদের সঙ্গে দেখা করতে তাঁদের বাড়িতে যেতেন তিনি। পরবর্তীতে কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে চলে যান রমেশ ও গণেশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্বাস বাড়িতে যাতায়াত লেগেই ছিল জয়দেবের। এতেই বন্ধুর মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ওই যুবকের। এক পর্যায়ে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে ঘর বাঁধার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি পূর্ণিমাদেবীর স্বামী বিজয়বাবু জানার পরই শুরু অশান্তি। রবিবার স্ত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে এ নিয়ে বচসা হয় বিজয়ের। এরপর এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায় প্রেমিক যুগল। পরে সোমবার সকালে এলাকার একটি আমবাগানের গাছে মেলে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ। ইতিমধ্যেই দেহদু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এবিষয়ে বিজয়বাবু বলেন, “ছেলেদের বন্ধু ছিল, তাই প্রায়দিনই জয়দেব আমাদের বাড়িতে আসত। কিন্তু আমার স্ত্রীর সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্ক ছিল বলে জানতাম না। গতকাল সন্ধেয় বাজার থেকে ফিরে দেখি পূর্ণিমা নেই। রাতভর কোথাও তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।” মৃতের দাদার কথায়, “ওই মহিলা ভাইয়ের বন্ধুদের মা। এই ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.