ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী ভিনরাজ্যে। ফেরার ইচ্ছে থাকলেও লকডাউনের (Lockdown) কারণে এই মূহুর্তে তা সম্ভব ছিল না। এই নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন বধূ। পরিণতি হল মর্মান্তিক। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতীয় হয়েছেন ওই বধূ। যদিও তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি মামার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলতলিতে।
মৃতার নাম সুষমা পাইক। কুলতলিতেই (Kultali) বাপের বাড়ি তাঁর। নিকটবর্তী চুপড়িঝাড়া এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তাঁর। বছর দু’য়েক আগে বিয়ে হয় তাঁদের। জানা গিয়েছে, বিয়ের এক বছর পর স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কাজের উদ্দেশে তামিলনাড়ু পাড়ি দেন যুবক। সেখানে কাজ করতেন। নিয়মিত স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগও ছিল। কিন্তু একে কাজ তার উপর লকডাউনের কারণে বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না তিনি। এদিকে দীর্ঘদিন স্বামীকে কাছে না পাওয়ায় মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল সুষমাকে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার শ্বশুরবাড়িতে মেলে বধূর ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্বামী দীর্ঘদিন না ফেরায় মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই বধূ। যদিও তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিললেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। মৃতার মামার কথায়, “জামাই না থাকায় ভাগ্নি মনমরা হয়ে থাকত ঠিকই। তবে এই কারণে আত্মহত্যা করেনি। ওকে খুন করা হয়েছে।” ঘটনার পর্যাপ্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.