অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফ্ল্যাট থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে (Halisahar)। খবর পেয়ে হালিশহর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। শুরু হয়েছে তদন্ত। কিনারা গৃহবধূর প্রেমিক ও অন্যান্য কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর।
কর্মসূত্রে স্বামী বাইরে থাকায় স্ত্রী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত (Extra Marital Affairs)সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ঘর থেকে ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর প্রেমিককেই দায়ী করছে পরিবারের লোকেরা। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হালিশহর থানার বলদেঘাটা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সোমা কুরু, বয়স ৩৪ বছর। মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগে সরব হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকজন পরিচিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হালিশহরের বলদেঘাটা এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন সোমা কুরু। তার স্বামী সুন্দর কুরু পেশায় রেলকর্মী। কর্মসূত্রে তিনি মধ্যপ্রদেশে থাকেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে রাজীব ভট্টাচার্য নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রাজীব হুগলিতে পুলিশের গাড়ি চালায়। প্রথমে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ফোনে কথা হতো ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী না থাকার সুযোগে রাজীব ওই গৃহবধূর বাড়িতে যাওয়া আসা শুরু করে। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। বুধবার রাতে ওই যুবক গৃহবধূর ফ্ল্যাটে এসেছিল।
এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে গৃহবধুর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হয়। এ বিষয়ে মৃতার মা অনুরাধা বিশ্বাস বলেন, “রাজীব মেয়েকে খুব মারধর করত। আমরা এসব পছন্দ করতাম না। বুধবার সারাদিন আমি মেয়ের সঙ্গে কাঁচরাপাড়ায় একটি কাজে গিয়েছিলাম। পরে, সন্ধ্যায় মেয়ে ফ্ল্যাটে যাওয়ার পর রাজীব আসে। আমার অভিযোগ, রাজীব মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। মেয়ের শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সকালে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রাজীব নিজেই বাঁচার জন্য পুলিশে খবর দেয়। আমরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.