সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: চিনের পর এশিয়ার অন্যান্য দেশ হয়ে নেপালেও করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। সেখানে একজনের শরীরে মিলেছে এই জীবাণু। যার জেরে নেপাল-বাংলা সীমান্তে কড়া নজরদারির নির্দেশ পাঠাল স্বাস্থ্য দপ্তর। সীমান্ত সংলগ্ন উত্তরবঙ্গ দিয়ে যাতে করোনা সংক্রমণ না হয়, তার জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে তিনটি জায়গা – খড়িবাডি, সুখিয়াপোখরি, মিরিক নেপাল-বাংলা সীমান্ত। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এই তিন জায়গার পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এখানকার চেকপোস্টে নেপাল থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজই স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা পৌঁছেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য জানিয়েছেন, ”আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছ থেকে নির্দেশিকা পেয়ে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। নেপাল থেকে যারা সীমান্ত পেরিয়ে আসছেন, তাঁদের সকলকে ভালভাবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তবেই রাজ্যে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ”
অন্যদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। হাসপাতালের সুপার ডক্টর কৌশিক সমাজদার বলেন, ”আমাদের হাসপাতালে ৪টি আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে। সেগুলোকে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত রেখেছি। আইসোলেশন ওয়ার্ড আর বাড়ানো হয়নি। তবে প্রয়োজন পড়লে, তাও হবে। এই রোগ মোকাবিলায় সবরকমভাবে আমরা প্রস্তুত। কোনও ব্যক্তিকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে, তাকে যথাযথ পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করা হবে।” এর আগেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রেখেছিল। কোনওরকম ঝুঁকি এড়াতে এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও প্রস্তুত। যদিও এখনও পর্যন্ত দেশে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.