সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরশুমভর বৃষ্টির ঘাটতি। বৃষ্টির আকালে ফুটিফাটা কৃষিজমি। তার উপর ক্রমবর্ধমান আর্দ্রতা শরীরের শেষ এনার্জিটুকুও যেন শুষে নিচ্ছিল। এদিকে উত্তরবঙ্গে তখন জল থইথই দশা। একাধিক জায়গা বানভাসি। তা সত্ত্বেও দক্ষিণবঙ্গ থেকে মুখ ফিরিয়েই রেখেছিলেন বরুণদেব। কিন্তু শ্রাবণ শেষের ছবিটা যেন একটু হলেও আলাদা। প্রবল বৃষ্টিতে মাঝেমধ্যেই ভিজছে শহর ও শহরতলি।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতা ও শহরতলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে এখন সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। তার উপর বঙ্গোপসাগরেও তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। জোড়া ফলায় দক্ষিণবঙ্গকে এখন বৃষ্টির জন্য চাতকের অপেক্ষা করতে হবে না। ভারী বর্ষণ না হলেও টানা হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে একাধিক জায়গায়। তবে উপকূল অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। এছাড়া বাকি আট জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হবে বলেও পূর্বাভাস।
তবে এই নিম্নচাপের প্রভাব কতদিন থাকবে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে শহরবাসী। কারণ গত সপ্তাহেও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছিল। কিন্তু সময় বাড়তেই তা সরে যায় ওড়িশার দিকে। হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছিলেন, “সমুদ্রে শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা ও ওড়িশার বালেশ্বরের মধ্য দিয়ে এই নিম্নচাপ স্থলভাগে প্রবেশ করে। যার প্রভাবে এদিন ওড়িশা উপকূলে, গাঙ্গেয় বাংলার উপকূলেও বৃষ্টি হয়।” তবে অতি ভারী না হলেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ায় ফিরে আসছিল গরম। তার উপর মরশুমভর বৃষ্টিপাতের যে ঘাটতি তৈরি হয়েছিল, তা শ্রাবণের শেষের দিকে মিটবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ ছিল। এখনও সেই সন্দেহ মিটেছে, এমন নয়। কিন্তু বর্ষার শেষর দিকে কয়েকদিনের জন্য হলেও স্বস্তি দিয়েছে শহরবাসীকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.