টিটুন মল্লিক ও সুনীপা চক্রবর্তী: রাতভর মুষলধারায় বৃষ্টি। বাঁকুড়া শহর-সহ বানভাসি গোটা জেলা। গন্ধেশ্বরী নদীর জলে প্লাবিত বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট, জুনবেদিয়া, রামমোহন পল্লী-সহ বহু এলাকা। নদীর জলে ভেসে গিয়েছে পাকা বাড়ি। মেজিয়ায় প্লাবিত কমপক্ষে ১৪টি গ্রাম। খোঁজ মিলছে না একজনের। প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ সাধারণ মানুষ। এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে আক্রান্ত বিডিও। এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যার ভ্রুকুটি ঝাড়গ্রামেও। ভেঙে পড়েছে শতাধিক বাড়ি। বন্ধ স্কুল ও কলেজ।
[অসমে অবরোধ রাজবংশী স্টুডেন্ট ইউনিয়নের, উত্তরবঙ্গে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা]
রবিবার রাতে তুমুল বৃষ্টি নামে বাঁকুড়ায়। মুষলধারায় বৃষ্টি চলে ঘণ্টা দশেক। যখন বৃষ্টি থামল, তখন বাঁকুড়া শহর-সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। বাঁকুড়া শহরের বুক চিরে বয়ে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদী। বৃষ্টিতে জলে ফুলেফেঁপে উঠেছে নদী। দুই কুল ছাপিয়ে গিয়েছে। নদীর জলে প্লাবিত বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট, জুনবেদিয়া, রামমোহন পল্লির মতো এলাকাগুলি। রাস্তা-ঘাটই শুধু নয়, বাড়িতেও হাঁটু সমান জল। জুনবেদিয়ায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে একটি পাকা বাড়ি। দুর্ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন মা ও মেয়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছেন তাঁরা। বহু জায়গায় ভেসে গিয়েছে বিদ্যুতের পোস্ট। ফলে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা। জেলার বাকি অংশের অবস্থাও তথৈবচ। মেজিয়া ব্লকে প্লাবিত কমপক্ষে ১৪টি গ্রাম। খোঁজ মিলছে না একজন গ্রামবাসীর। এদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ বাঁকুড়ার মানুষ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বাঁকুড়া শহরে আক্রান্ত হন খোদ বিডিও।
বাঁকুড়ার মতো না হলেও বৃষ্টিতে কার্যত ভেসে গিয়েছে পাশের জেলা ঝাড়গ্রামও। জেলাসদর ঝাড়গ্রামে বহু এলাকা ও রাস্তা জলের তলায়। ভেঙে পড়েছে শতাধিক বাড়ি। ঝাড়গ্রাম শহরে ত্রাণশিবির খুলেছে জেলা প্রশাসন। বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে বন্ধ যান চলাচল। সোমবার ঝাড়গ্রামের শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেখুন ভিডিও;
[ঘুম ভাঙতেই বিছানায় বিষধর সাপের সাক্ষাৎ! তারপর…]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.