সম্যক খান ও অরিজিৎ গুপ্ত: দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রয়োজনে আবারও দলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথাও বলেছেন। তবে সাম্প্রতিক বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না তাঁকে। মঙ্গলবারও ‘বঞ্চনা’র অভিযোগে সরব হয়েছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। আর তার ঠিক পরেরদিনই ফের তাঁর ছবি দেওয়া ‘দাদার সাথী’, ‘আমরা দাদার অনুগামী’ পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিংয়ে ভরল মেদিনীপুর।
বুধবার সকালে মেদিনীপুর (Medinipur) শহরের গান্ধী মোড়, গোলকুয়ার চক, কেরানিতলা, এলআইসি মোড়-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাজীবের নামে হোর্ডিং দেখা যায়। কোথাও লেখা, ‘দাদার সাথী’, কোথাও আবার লেখা ‘দাদার পাশে আমরা’। এর আগেও হাওড়া, বাঁকুড়া-সহ একাধিক জায়গায় এমন হোর্ডিং, পোস্টার, ব্যানার দেখা যায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়।
দিনকয়েক আগে টালিগঞ্জের অরাজনৈতিক সভায় দলীয় নেতৃত্বের বিরোধিতা করে মন্তব্য করেছিলেন বনমন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নয়া জল্পনা মাথাচাড়া দেয়। ব্রাহ্মণদের এক অনুষ্ঠানেও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। রাজীবের মানভঞ্জনে বৈঠকেও বসেন তিনি। তবে বৈঠকের পরেও যেন ‘বেসুরো’ রাজ্যের মন্ত্রী।
মঙ্গলবার ফের ডোমজুড়ে সাংবাদিকদের রাজীব বলেন, “আমি একেক সময় ভাবি অনেকে অনেক কিছু হয়তো পাই। অনেকে অনেকরকমভাবে গুরুত্ব পান। তারপরেও যখন সেখানেও মান-অভিমান হয় তখন বাংলার মানুষও দেখেছেন আমাকে কীভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। ডোমজুড়ের মানুষও দেখেছে বঞ্চনা। সেই জায়গা থেকেই আমি বলেছি। আমার নিজের দুঃখ, ডোমজুড় ও বাংলার মানুষের দুঃখের কথাই আমি এর আগে বলেছি।” কিছুদিন আগেই ‘দাদার অনুগামী’ লেখা পোস্টারে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর পোস্টারও পড়েছিল রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে তিনিও শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে রয়েছেন কি না সেই প্রশ্নের জবাবে রাজীব জানান, “শুভেন্দু অধিকারী কী করবেন সেটা তাঁর ব্যাপার।” তিনিও কি বিজেপিতে যেতে পারেন? রাজীব বলেন, “এ নিয়ে কোনও জল্পনা নেই। আমি নির্দিষ্ট জায়গায় আমার কথা জানিয়েছি। নিজের মনের কথা, দুঃখের কথা দলকে জানিয়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.