ছবি: প্রতীকী
দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ফের পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে খুনের চেষ্টার পর আত্মহত্যার প্ররোচনা, যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে শোরগোল। হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায় এক যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ছড়াল উত্তেজনা। সেই ভিডিও ভাইরাল (Viral Video)সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দম্পতি পলাতক।
জানা যাচ্ছে, চুঁচুড়ার ঝিঙেপাড়ার এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের (Love) সম্পর্ক ছিল এলাকায় কাজ করতে আসা যুবক রোহিত রামের। কিন্তু এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি মেয়েটির পরিবার। রোহিতের বাড়ি ঘুটিয়াবাজার কালীতলায়। তিনি ঝিঙেপাড়ায় এক মুদির দোকানে কাজ করতেন। অভিযোগ, মেয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মেয়েটির বাবা প্রভাব খাটিয়ে সেই কাজ ছাড়িয়ে দেয়। এরপর নাবালিকা প্রেমিকাকে নিয়ে রোহিত পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। তাঁদের কোনওক্রমে উদ্ধার করা হয়। রোহিত বিহারের (Bihar) সমস্তিপুরে ফিরে যান। মেয়েটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় একটি হোমে।
এরপর দিন কয়েক আগে রোহিত বাড়ি ফেরেন। ঝিঙেপাড়ারই এক আটাকলে কাজে যোগ দেন। মেয়ের সেই প্রেমিক কেন ফের পাড়ায় কাজ করতে এসেছে, তা নিয়ে আপত্তি জানান নাবালিকার বাবা। অভিযোগ, দিন দুই আগে তিনি ও তাঁর স্ত্রী রোহিতকে সেই আটাকল থেকে টেনে বের করে নিয়ে আসেন। তারপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর জখম রোহিত নিজেই কোনওক্রমে কালীতলার বাড়ি ফিরে যায়। পরিবারের দাবি, বাড়ির সামনে বিষপান করে সেখানেই পড়ে ছিলেন বছর কুড়ির যুবক।
প্রতিবেশীরা তাঁকে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। রোহিতের পরিবারের অভিযোগ, নাবালিকা প্রেমিকার বাবার মারধরে অপমানিত ছেলেটি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দম্পতি দুখিরাম পাল ও শ্যামলী পাল পলাতক। তাদের খোঁজে নেমেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.