আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: এনআরএস হাসপাতালে ১৬টি কুকুরছানার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে যখন তোলপাড় শহরে, তখন উত্তর শহরতলির বেলঘরিয়ায় স্রেফ কুকুর পোষার জন্য রীতিমতো হেনস্তার মুখে পড়লেন এক গৃহবধূ। অভিযুক্ত আবার প্রাক্তন সেনা জওয়ান। ঘটনার সময়ে তিনি মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ।
[জীবন দিয়ে মিটল ঘুড়ি ওড়ানোর শখ, নেড়া ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু শিশুর]
ঘটনাটি ঠিক কী? বেলঘরিয়ার নিমচাঁদ স্ট্রিটে থাকেন কুন্তল ঘোষ। তিনি প্রাক্তন সেনা জওয়ান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিবেশী এক গৃহবধূ কুকুর পোষেন। শনিবার রাতে পোষ্য সারমেয়টিকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই কুকুরটি কুন্তলের পায়ে নখে আঁচড় কেটে দেয়। আর তাতেই অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন প্রাক্তন ওই সেনা জওয়ান। রাস্তায় দাঁড়িয়েই কুকুরের মালকিনের সঙ্গে রীতিমতো তর্কাতর্কি জুড়ে দেন তিনি। ওই গৃহবধূকে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ। আক্রান্ত গৃহবধূর দাবি, ঘটনার সময়ে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ মদ্যপ ছিলেন। দুইপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তে নেমেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।
ফ্ল্যাটে দুটি কুকুর আছে। স্রেফ এই অপরাধেই দিন দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে এক যুবককে মার খেতে হয়েছিল। তাঁর স্ত্রীকেও হেনস্তা করেছিল দুষ্কৃতীরা। হরিদেবপুরে একটি আবাসনে থাকেন ওই দম্পতি। তাঁদের অভিযোগ, ওই আবাসনের কয়েকজন বাসিন্দার ফতোয়া জারি করেন যে, ফ্ল্যাটে কুকুর রাখা যাবে না। সেই ফতোয়া মানতে অস্বীকার করাতেই ওই যুবককের মারধর করা হয়। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে নিজেদের পোষ্যকে বন্ধুর বাড়িতে রেখে আসেন ওই দম্পতি। গোটা ঘটনার কথা ফেসবুকে জানান আক্রান্ত যুবক নিজেই। এদিকে আবার রবিবার এনআরএস হাসপাতাল চত্বর থেকে ১৬টি কুকুর ছানার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে অবলা প্রাণীগুলিকে।
[ মৎস্যসুখে বাধা, বিপদ বাড়াচ্ছে ডুয়ার্সের মাছে অতিরিক্ত ফরমালিন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.