ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শেষে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। বছর তেয়িশের গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় মানিকচক থানা এলাকায়। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
মৃত গৃহবধূর নাম ঝুমা মণ্ডল। ভুতনী থানার উত্তরচণ্ডীপুরে বাড়ি তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, আড়াই বছর আগে মানিকচক থানার ডোমহাটের ভুবনটোলার বাসিন্দা মঙ্গল মণ্ডলের সঙ্গে ঝুমার বিয়ে দেন ভুতনী থানার উত্তরচণ্ডীপুরের বাসিন্দা চৈতন্য মণ্ডল। কিন্তু আড়াই বছর পরও তাদের কোনও সন্তান হয়নি। ফলে দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। টাকা চেয়ে প্রায়ই স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাত মঙ্গল বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকবার মীমাংসাও হয়। এমনকী সন্তান হলে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে। এরপর গৃহবধূর স্বামী মঙ্গল টাকার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। কিন্তু সন্তান না হওয়ায় গৃহবধূর বাবা চৈতন্য টাকা দিতে অস্বীকার করেন। আজ, সোমবার গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ স্বামীর ঘর থেকেই উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাদতন্তে পাঠানো হয়।
ঝুমার পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা করেননি তিনি, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ফলে গৃহবধূর পরিবার মানিকচক থানায় মঙ্গল মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই পলাতক মঙ্গল। তাঁর খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি এও জানানো হয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। বছর শেষে এমন ঘটনায় থমথমে মানিকচক এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.